dead body

পরিচয় জানা গেল হাওড়ায় গঙ্গায় ভেসে আসা দুই নাবালকের, নিখোঁজ ডায়েরি করতে গিয়ে দেহের খোঁজ

মৃতদের নাম মহম্মদ লাবিস এবং মহম্মদ আসিফ। তাদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে তারা নাজিরগঞ্জ লিচুবাগান এলাকায় নিজেদের বাড়ির পাশে মাঠে খেলা করছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪২
Share:

মহম্মদ লাবিস এবং মহম্মদ আসিফ। — নিজস্ব চিত্র।

হাওড়ায় গঙ্গা থেকে যে দুই নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, তাদের পরিচয় জানতে পারল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই দুই নাবালক হাওড়ার নাজিরগঞ্জ লিচুবাগান এলাকার বাসিন্দা। সম্পর্কে তারা মাসতুতো ভাই। সোমবার দুপুর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাদের। রাতে তাদের দেহ উদ্ধার হয় গঙ্গা থেকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম মহম্মদ লাবিস (১২) এবং মহম্মদ আসিফ (৮)। তাদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে তারা নাজিরগঞ্জ লিচুবাগান এলাকায় নিজেদের বাড়ির পাশে মাঠে খেলা করছিল। দুপুরের পর থেকে দুই ভাইয়ের খোঁজ পাচ্ছিলেন না পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পর রাত ৮টা নাগাদ পরিবারের লোকজন নাজিরগঞ্জ থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করতে যান। সেই সময় তাঁরা জানতে পারেন, দুই নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়েছে পোদরা ঘাট থেকে। পরে পরিবারের লোকজন দু’জনের দেহ শনাক্ত করেন।

এই কাণ্ডে নতুন ইঙ্গিত দিয়েছেন লাবিসের মা রানি খাতুন। তাঁর অভিযোগ, মাস তিনেক আগে তাঁর বড় মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন শামিম খান নামে এক যুবক। এর পর থেকে শামিমের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের অশান্তি শুরু হয় বলেও জানিয়েছেন রানি। সেই আক্রোশে শামিম দুই ভাইকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন রানি। সাঁকরাইল থানার পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। মৃতদেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। হাওড়া সিটি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে গঙ্গায় স্নান করতে গিয়ে দু’জনে জলে ডুবে মারা গিয়েছে। তবে তদন্তকারীরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন। মৃতদের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হলে তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন