Cyclone Mocha

‘মোকা’র আশঙ্কা, বোরো ধান কাটতে তৎপরতা 

হুগলিতে প্রায় ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয় বলে কৃষি দফতরের হিসাব। ক্ষতির আশঙ্কায় বোরো ধান ঘরে তুলতে চাষিরা এখন রোদ-গরম কিছুই মানছেন না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া, আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৩ ০৭:৪৮
Share:

মেশিন দিয়ে ধান কাটা চলছে গোঘাটের কামারপুকুরের টাড়ুইয়ে। নিজস্ব চিত্র 

সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ কোথায় আঘাত হানবে, সে ব্যাপারে এখনও কোনও পূর্বাভাস মেলেনি। তবে, দুই জেলাতেই (হাওড়া ও হুগলি) বোরো ধানের ক্ষতি রুখতে দ্রুত তা কেটে ঘরে তুলতে কোমর বেঁধেছে চাষিরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বোরোয় ক্ষতি ঠেকাতে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

হুগলিতে প্রায় ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয় বলে কৃষি দফতরের হিসাব। ক্ষতির আশঙ্কায় বোরো ধান ঘরে তুলতে চাষিরা এখন রোদ-গরম কিছুই মানছেন না। আরামবাগ, গোঘাট, তারকেশ্বর, পুড়শুড়া, জাঙ্গিপাড়া-সহ যে সব এলাকায় এখনও মাঠে ধান রয়ে গিয়েছে, তা ভোর থেকে কাটা চলছে। কোথাও যন্ত্রে, কোথাও কাস্তেতে।

জেলা কৃষি দফতরের হিসাবে, মাঠে এখনও প্রায় ৩০ শতাংশ বোরো ধান রয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বড় ঝড় না হওয়ায় এ বার বোরো ধানের ফলন ভাল। বিঘাপিছু ৭-৮ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান মিলছে বলে চাষিরা জানাচ্ছেন। ফলে, বাকি পড়ে থাকা জমির ধানও কেটে নিতে চাষিদের তৎপরতা বেড়েছে।

Advertisement

আরামবাগের রামনগরের চাষি বিদ্যাপতি বাড়ুই বলেন, “বোরো ধান ৮০-৯০ শতাংশ পাকলেই (সোনালি রং ধরলেই) সাধারণত কাটার চল। ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে ধান একটু আগেই কেটে নিতে হচ্ছে। তাতে ফলনের বিশেষ হেরফের হবে না।” একই কথা জানিয়ে গোঘাটের টাঁড়ুই গ্রামের চাষি তাপস পাল বলেন, “আমার বিঘা তিনেক জমির ধান কাটতে আরও দিন চারেক সময় পেলে ভাল হত। কিন্তু ঝড় আসবে শুনে শুক্রবারই যন্ত্রে সবটাকেটে নিয়েছি।”

জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) প্রিয়লাল মৃধা বলেন, “শুক্রবার পর্যন্ত ৭০ শতাংশের বেশি ধান কাটা হয়ে গিয়েছে। বাকিটুকু দ্রুত ঘরে তুলতে প্রচার চালাচ্ছি আমরা। চাষিরাও সচেতন। আশা করছি, ঝড়ের আগে সব ধানই তুলে নিতে পারবেন চাষিরা।”

বৃহস্পতিবার হাওড়ার বিভিন্ন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। বোরোয় ক্ষতি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।হাওড়া জেলা জুড়েই বোরো চাষ হয়েছে। তবে, সিংহভাগ জমিরই ধান কাটা হয়ে গিয়েছে বলে চাষিদের দাবি। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, ধান কাটার পরে অনেকেই তা জমিতে ফেলে রেখেছেন। সেগুলি যাতে দ্রুত তুলে বাড়িতে নিয়ে যান সে বিষয়ে চাষিদের মধ্যে প্রচার করার জন্য বিডিওদের বলা হয়েছে। এ ছাড়া, পাকা ধান দ্রুত কেটে নেওয়ার জন্য চাষিদের বলা হয়েছে।

জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, ‘‘আমাদের জেলার উপর দিয়ে এই ঝড় যাবে কি না, সে বিষয়ে এখনও আবহাওয়া দফতর নির্দিষ্ট করে কিছুই জানায়নি। তবুও আমরা আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন