Murder

ঘরে দেহ, তালাবন্ধ দরজার পাশে রাখা চাবি, কোন্নগরে তরুণীর রহস্যমৃত্যুতে গ্রেফতার স্বামী

প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রিন্টু এবং পল্লবীর কোনও সন্তান ছিল না। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোন্নগর শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৫৫
Share:

পল্লবী দাস ও রিন্টু দাস। —নিজস্ব চিত্র।

ফেসবুকে ভিন্ন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে স্ত্রী। সন্দেহের বশে তরুণীকে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির কোন্নগরের সূর্য সেন স্ট্রিটে। পুলিশ রিন্টু দাস নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

কোন্নগর সূর্য সেন স্ট্রিটের বাসিন্দা রিন্টু দাস পেশায় দিনমজুর। বছর আষ্টেক আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় পল্লবী (৩০)-র। পল্লবী স্থানীয় একটি শাড়ির দোকানের কর্মী ছিলেন। রবিবার সকালে পল্লবীকে দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা। তাঁদের ঘর বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। অথচ ঘরের চাবি পড়েছিল দরজার কাছে। তা দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাঁরা উত্তরপাড়া থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা খুলে দেখতে পায় ঘরে পল্লবীর দেহ পরে রয়েছে। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন। পুলিশের অনুমান, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে রিন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের কাছে রিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন পল্লবীর দিদি মিনতি নাহা।

প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রিন্টু এবং পল্লবীর কোনও সন্তান ছিল না। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। শনিবার রাতেও তাঁদের মধ্যে অশান্তি হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পল্লবীর দিদির অভিযোগ, প্রায় প্রতি রাতেই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে তাঁর বোনকে রিন্টু মারধর করত। পুলিশের ধারণা, ফেসবুকে পল্লবীর কয়েক জন বন্ধু ছিল। তাই তাঁকে রিন্টু সন্দেহ করতেন। তিনি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, এই ধারণাবশতই পল্লবীকে রিন্টু খুন করেছে বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। ঘটনাচক্রে অভিযুক্ত রিন্টুর মা মনা দাস বলেন, ‘‘রাতে ওদের মধ্যে কী হয়েছে জানি না। সকালে এক জন আমার ছোট ছেলেকে শিন্টুকে ফোন করেছিল। শিন্টু আমাকে বলল ‘দাদা বউদিকে মেরে ফেলেছে।’ গতকাল রাতে আমাকে ফোন করেছিল রিন্টু। তখন বলেছিল, ‘মা, আমি ঘুমিয়ে পড়ার পর পল্লবী ফেসবুক করে।’ আমি তখনও ওকে অনেক বুঝিয়েছিলাম গতকাল। ওদের মধ্যে মাঝে মাঝে অশান্তি হত।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন