TMC Internal Conflict

বাঁকড়ায় পঞ্চায়েত দখল ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, জখম ২

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি অনুন্নয়ন, টাকা লোপাট-সহ নানা আর্থিক অভিযোগ ঘিরে বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকির সঙ্গে উপ-প্রধান স্বাতী জানার গোলমাল শুরু হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

গ্রাম পঞ্চায়েতের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে মঙ্গলবার তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল হাওড়ার বাঁকড়ার তিন নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হলেন পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য-সহ আর এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেড় বছর আগে ওই পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকেই দুষ্কৃতীরা পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। কিন্তু অল্পের জন্য গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বেঁচে যান টুকটুকি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি অনুন্নয়ন, টাকা লোপাট-সহ নানা আর্থিক অভিযোগ ঘিরে বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকির সঙ্গে উপ-প্রধান স্বাতী জানার গোলমাল শুরু হয়। যার জেরে ওই পঞ্চায়েতের ১৮ জন সদস্যের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দানা বাঁধে। এর মধ্যে পঞ্চায়েতের ১২ জন সদস্য দলীয় নেতৃত্বের কাছে বোর্ডের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ করে চিঠি দেন। দলীয় সূত্রের খবর, তখন থেকেই গোলমালের সূত্রপাত।

মঙ্গলবার দুপুরে ছিল ওই পঞ্চায়েতের সাধারণ সভা। অভিযোগ, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বাধে। প্রধানের অভিযোগ, তাঁর গায়ে হাত তোলেন এবং কাপড় ছিঁড়ে দেন উপ-প্রধানের অনুগামী রঞ্জন পাল নামে এক সদস্য। যদিও বিরোধী গোষ্ঠীর অভিযোগ, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি করতে চাওয়ায় রঞ্জনকে আচমকা কিল-ঘুসি মারতে শুরু করেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান জাকির হোসেন মণ্ডল। রঞ্জনের মুখ-চোখ ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। পঞ্চায়েত অফিসের এই গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে অফিসের বাইরেও। অভিযোগ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা শবনম বেগমের স্বামী আরমান খানকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে টুকটুকির অনুগামীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় আরমানকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ নিয়ে বাঁকড়া তিন নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান টুকটুকি বলেন, ‘‘এ দিন বৈঠক চলার সময়ে কিছু সদস্য চড়াও হয়। মারধর করে জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়। আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।’’গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া জেলা পরিষদের মেন্টর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। দল এ ধরনের ঘটনাকে কখনওই সমর্থন করে না। ওই পঞ্চায়েতে বার বার কেন এমন ঘটছে, তা দলের তরফে খতিয়ে দেখা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন