Khanakul

নিকাশি পথ আটকে ঢালাই, প্রতিবাদ এলাকার বাসিন্দাদের

প্রায় ১৫০০ হেক্টর এলাকা নিয়ে ঘোষপুর পঞ্চায়েতের পিলখাঁ, ঘোষপুর, দুয়াদণ্ড-সহ খান আটেক গ্রামের জল নিকাশির জন্য খালটি কাটা হয়েছিল বাম আমলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৩ ০৯:৫৭
Share:

নিকাশি পথের উপরেই নির্মাণ। নিজস্ব চিত্র

ভৌগোলিক ভাবে নিচু খানাকুলে ফি বছর বন্যা হয়। চাষের জমি তো বটেই, বসতি এলাকা থেকেও সেই জমা জল দিন সাতেকেও নামে না। এমন বানভাসি এলাকায় জল নিকাশি পথে বাধা সৃষ্টি করে নির্মাণের অভিযোগ উঠল খানাকুল-১ ব্লকের ঘোষপুর পঞ্চায়েত এলাকায়।

Advertisement

এর জেরে জল নিকাশিরব্যাঘাতের কথা স্বীকার করে প্রধান হায়দার আলি বলেন, ‘‘আমারা বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ হয়নি। এ বার বিষয়টা ব্লক প্রশাসনে জানানো হয়েছে।” আর ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, বিষয়টা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।

প্রায় ১৫০০ হেক্টর এলাকা নিয়ে ঘোষপুর পঞ্চায়েতের পিলখাঁ, ঘোষপুর, দুয়াদণ্ড-সহ খান আটেক গ্রামের জল নিকাশির জন্য খালটি কাটা হয়েছিল বাম আমলে। ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন জায়গার উপর দিয়ে খালটি গিয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে রূপনারায়ণ নদের সঙ্গে যোগ থাকা অরোরা খালে মিশেছে। এখন ওই জায়গার মালিকরা খালের উপরে কংক্রিটের স্তম্ভ তুলে বাড়ি তৈরি করছেন।

Advertisement

সম্প্রতি তেমনই একটি নির্মাণ নিয়ে পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, দ্রুত ওই নির্মাণ ভাঙতে হবে। তাঁদের ক্ষোভ, ‘‘দ্রুত জল নিকাশি না হওয়াতেই প্রতি বছর বন্যায় ফসল হানি-সহ নানা ভোগান্তি হয়। এ বার ওই স্তম্ভগুলোতে জল বেরোতে আরও সমস্যা হবে।’’

নতুন নির্মাণ কাজটি নিয়ে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই কামেলা খাতুন বলেন, ‘‘জল নিকাশির পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা রেখেছি। নিজের ভিটেতে নির্মাণ তুলতে পারব না। আমার কাজ বন্ধ হলে ওই নিকাশি পথের সব নির্মাণ সরাতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন