Polba

পোলবায় মহিলা খুনে গ্রেফতার হয়নি কেউ

নিহত জ্যোৎস্না জানা দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী পূর্ণচন্দ্রের সঙ্গে পোলবার সুগন্ধার কাছে দিল্লি রোডের পাশে একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। সেখানেই থাকতেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:০০
Share:

পোলবার সুগন্ধায় নিহতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। — নিজস্ব চিত্র।

হুগলির পোলবায় পরিত্যক্ত কারখানা চত্ত্বর থেকে এক মহিলার নলিকাটা দেহ উদ্ধারের পরে দু’দিন পেরিয়ে গেলেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কী কারণে তাঁকে খুন করা হয়, তা নিয়েও তদন্তকারীরা স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি। হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘কেউ গ্রেফতার হয়নি। তদন্ত চলছে।’’

Advertisement

নিহত জ্যোৎস্না জানা দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী পূর্ণচন্দ্রের সঙ্গে পোলবার সুগন্ধার কাছে দিল্লি রোডের পাশে একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। সেখানেই থাকতেন। সোমবার রাতে ভাটার পাশের পরিত্যক্ত কারখানায় চৌব্বাচার মধ্যে বছর পঞ্চান্নর ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয় লতাপাতা ঢাকা অবস্থায়। এই ঘটনা নিয়ে আন্দোলনে নামেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার থানার সামনে বিক্ষোভ, অবরোধ করে বিজেপি। ওই দিন পুলিশ কুকুর আনা হয়। দেহ উদ্ধারের জায়গা থেকে সে পাশের একটি কারখানায় ছুটে যায়। পুলিশ ওই কারখানা থেকে কয়েক জনকে আটক করে।

আটকদের ব্যাপারে পুলিশকর্তারা এ দিন মুখ খোলেননি। তদন্তে কোনও সূত্র মিলেছে কি না, তা নিয়েও কিছু বলেননি। এসপি বলেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। সময়মতো সব জানিয়ে দেওয়া হবে।’’

Advertisement

নিহতের দুই ছেলে রাজকুমার ও রবি অন্ধ্রপ্রদেশে সোনার কাজ করেন। জগন্নাথবাটীতে তাঁদের দোতলা বাড়ি রয়েছে। সেখানে থাকেন রাজকুমারের স্ত্রী পারমিতা। মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রাজকুমার-রবি ফিরে এসেছেন। বুধবার রাজকুমারকে থানায় ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। রাজকুমার বিজেপি কর্মী। তাঁর বক্তব্য, খুনে রাজনৈতিক কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘‘মায়ের খুনের কারণ জানতে চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের গ্রেফতার করুক পুলিশ।’’ পারমিতার দাবি, জ্যোৎস্না ছাগল চরাতেন। সেই কাজের সুবিধার জন্যই ইটভাটায় থাকতেন। তবে জগন্নাথবাটীতে বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল।

বুধবার বিকেলে বাড়িতে গিয়ে রাজকুমারের সঙ্গে কথা বলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। বিধায়ক বলেন, ‘‘রাজকুমার যে দলই করুন, এমন পরিস্থিতিতে আমি সকলের পাশে থাকার চেষ্টা করি। ওঁর পাশেও আছি।’’ অনিতের এই কথা বলা নিয়ে বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদারের কটাক্ষ, ‘‘কাল কোথায় ছিলেন! সামনে লোকসভা নির্বাচন। তাই আজ রাজনীতি করতে গিয়েছিলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন