Water Project

অবশেষে মিটতে চলেছে অভাব, পৃথক জল প্রকল্প পাচ্ছে উত্তর হাওড়া

হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জল প্রকল্প তৈরির কাজ করছে কেএমডিএ। এর জন্য উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়ির গঙ্গার ঘাটে ১ কোটি ৫০ লক্ষ গ্যালন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইনটেক জেটি তৈরি করা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৫
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অবশেষে নিজস্ব জল প্রকল্প পেতে চলেছে উত্তর হাওড়া। বর্তমানেহাওড়ার একমাত্র জল প্রকল্প, পদ্মপুকুর থেকে উত্তর হাওড়ায় বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠছিল, উত্তর হাওড়ায় একের পর একবহুতল তৈরি হওয়ায় সেখানকার বাসিন্দারা ঠিক মতো পানীয় জল পাচ্ছেন না। সেই অভাবপূরণ করতে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর উত্তর হাওড়ার পাশাপাশি, বালিরজন্যও পৃথক জল প্রকল্প তৈরিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮০ কোটি টাকা। আগামী বছরেরবিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রেখে কয়েক মাসের মধ্যেই প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা।

হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জল প্রকল্প তৈরির কাজ করছে কেএমডিএ। এর জন্য উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়ির গঙ্গার ঘাটে ১ কোটি ৫০ লক্ষ গ্যালন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ইনটেক জেটি তৈরি করা হচ্ছে। গঙ্গার অশোধিত জলপ্রথমে পাম্প করে ওই ইনটেক জেটিতে তোলা হবে। এর পরে সেই জল যাবে শহরের ছ’টি জায়গায় তৈরি হওয়া জলাধারে। সেখানেপরিশোধনের পরে পাম্পিং স্টেশনগুলির মাধ্যমে ওই পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করাহবে উত্তর হাওড়া ও বালির বিভিন্ন ওয়ার্ডে।

হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, যে ছ’টি জায়গায় জলাধার তৈরিহচ্ছে, সেগুলি হল— উত্তর হাওড়ার টি এল জায়সওয়ালহাসপাতালের কাছে, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের জটাধারি পার্কের কাছে, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চামারিয়া পার্কের কাছে, উত্তর হাওড়ার ১৬ নম্বরওয়ার্ডের ফায়ার ব্রিগেড এলাকায় এবং বালি পুরসভার ১০ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে।

সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রধান উদ্যোক্তা, উত্তর হাওড়ার বিধায়কগৌতম চৌধুরী বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তর হাওড়ার ১৪টি ওয়ার্ড এবং বালির ৩৫টি ওয়ার্ডের বাড়ি ও বহুতলের ফ্ল্যাটগুলিতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছেদেওয়া সম্ভব হবে। উপকৃত হবেন প্রায় ৫৫ হাজার বাসিন্দা।’’ তিনি জানান, প্রকল্পটি চালু হয়েগেলে পদ্মপুকুর জল প্রকল্প থেকে উত্তর হাওড়ায় জল সরবরাহ বন্ধ করা হবে। পুরসভাজানিয়েছে, উত্তর হাওড়া এবং বালির বাসিন্দারাও দিনে তিন বার করে জল পাবেন।

কেএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে অধিকাংশজলাধারই তৈরি হয়ে গিয়েছে। ইনটেক জেটি তৈরির কাজও শেষের পথে। পুরসভার আশা,ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে উত্তর হাওড়া ও বালির কয়েক লক্ষ বাসিন্দার কাছে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া যাবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন