Durgapur Expressway

Durgapur Expressway: দায়িত্ব বদলালেও যাত্রী-দুর্ভোগ একই

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, মোটা টাকা টোল দিয়ে ওই সড়কে তাঁরা যাতায়াত করেন। কিন্তু, মসৃণ ভাবে যাতায়াত করা যাচ্ছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডানকুনি শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:১৮
Share:

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে স্তব্ধ যান চলাচল। চণ্ডীতলায়। ছবি: দীপঙ্কর দে

যানজট সামলাতে চন্দননগর কমিশনারেটের হাত থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দায়িত্ব হুগলি গ্রামীণ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও যানজট নিয়ন্ত্রণে কোনও উন্নতিই চোখে পড়েনি এই জাতীয় সড়কে। প্রতিদিন সন্ধে থেকে মূলত ডানকুনিতে যানজট লেগেই থাকছে।

Advertisement

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, মোটা টাকা টোল দিয়ে ওই সড়কে তাঁরা যাতায়াত করেন। কিন্তু, মসৃণ ভাবে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবারেও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা বৈঠক করেন। প্রশ্ন উঠেছে, যানজটের ছবি আদপে না বদলালে প্রশাসনিক রদবদলে কী এসে যায়? পরিস্থিতির সার্বিক বদল নিয়ে পুলিশকর্তারাও খুব একটা আশাবাদী নন। তাঁরা তাকিয়ে আছেন রাস্তা সম্প্রসারণের দিকে।

চার লেনের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ নিত্য বাড়ছে। এই সড়ককে ছয় লেনে রূপান্তরিত করার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। কাজ সম্পূর্ণ হতে দু’বছরের বেশি সময় লাগবে। এখন প্রশ্ন— এই সময়ে মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে কী হবে?

Advertisement

হুগলি জেলায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ৫৪ কিলোমিটার বিস্তৃত। তার মধ্যে চন্দননগর কমিশনারেটের আওতাধীন ছিল ৮ কিলোমিটার (বালির মাইতিপাড়া থেকে চণ্ডীতলা পর্যন্ত)। বাকি অংশ ছিল গ্রামীণ পুলিশের আওতায়। সেই সময় যানজট নিয়ে পুলিশের দু’টি দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবের সঙ্গেই দোষারোপের পালা চলতে থাকে। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে যানজট রুখতে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের তরফে চন্দননগর কমিশনারেটের ৮ কিলোমিটার অংশের দায়িত্বও গ্রামীণ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এর পরেই, যানজট সামাল দিতে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের কর্তারা কিছু পরিকল্পনা নেন। যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলিয়ে ৬০ জনেরও বেশি কর্মী বাড়ানো হয়। ডানকুনি টোল প্লাজ়ার পরে ছোট যাত্রিবাহী গাড়িকে ছাড়ার জন্য একটি চ্যানেল করা হয়। কিন্তু তাতেও যানজটে লাগাম পরানো যায়নি।

কেন?

গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘কলকাতার দিকে ডানকুনি টোল প্লাজ়ার পর থেকে এই সড়ক খুব সঙ্কীর্ণ। কোনও ব্যবস্থা করেই যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না। একমাত্র ছয় লেন হলেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

আমরা চেষ্টা করছি, যানজটের সমস্যা যদি ২০ শতাংশও কমানো যায়। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বলেছি, এফসিআই মোড় থেকে মাইতিপাড়া পর্যন্ত রাস্তার কিছু কাজ করে দিতে। এক মাস হলে গেল। সেই কাজ সবে শুরু হয়েছে।’’

এই যেখানে পরিস্থিতি, সেখানে সড়কের হালও ভাল নেই। রাস্তা ভেঙে বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। বর্ধমানের জামালপুর থেকে হুগলির গুড়াপে ঢোকার পরে ডানকুনি পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পরিস্থিতি বেশ খারাপ। সেই কারণে গাড়ির গতি কমে যাচ্ছে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক কর্তা বলেন, ‘‘ডানকুনির দিক থেকে রাস্তা সারানোর কাজ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন