River Ganges

বানে ভাঙছে শিবপুর ঘাট, দেখভাল নিয়ে শুরু চাপান-উতোর

একাধিক বার শিবপুর ফেরিঘাটের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে ভেঙে পড়েছে। পন্টুন ভেসে গিয়েছে। ফলে মাসের পর মাস বন্ধ থেকেছে ফেরি পরিষেবাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২১ ০৫:৩৭
Share:

বিপদ-যাত্রা: বানের ধাক্কায় এমনই দশা শিবপুর ঘাটের। শুক্রবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

শুধু সুন্দরবনের নদীবাঁধ নয়, একের পর এক কটালের জোয়ারে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে হাওড়ার দিকে গঙ্গার শিবপুর ঘাট। ভরা কটালের ঢেউয়ের ধাক্কায় ইতিমধ্যে ভেঙে গিয়েছে ঘাটের কংক্রিটের আস্তরণ। লোহার মোটা রডও বেঁকে গিয়েছে। স্রেফ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিপজ্জনক ভাবে ভেঙে পড়া সেই ঘাটেই মানুষ ঝুঁকি নিয়ে স্নান করছেন। প্রতিমা নিরঞ্জন চলছে। চলছে ফেরি পরিষেবাও। এই নিয়ে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর ও হাওড়া পুরসভার মধ্যে। দুই সংস্থারই বক্তব্য, এই ঘাট মেরামত করা তাদের কাজ নয়।

Advertisement

গঙ্গার পশ্চিম তীরে হাওড়ার শিবপুর ঘাটের নদীপাড় ২০১১ সালে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কংক্রিটে বাঁধানো হয়। সৌন্দর্যায়ন করা হয় ফেরিঘাটের। ফেরিঘাটের দায়িত্বে থাকা হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতি সূত্রের খবর, গত কয়েক বছর ধরে দেখা যাচ্ছে, কটালের বান হাওড়ার দিকে বিদ্যাসাগর সেতুর মূল স্তম্ভের দিক থেকে এসে শিবপুর ঘাটের ওই কংক্রিটে জোরালো ধাক্কা মারছে। সেই ধাক্কার জেরে কংক্রিট ফেটে পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। ওই ধাক্কার জেরেই একাধিক বার শিবপুর ফেরিঘাটের পন্টুন ও গ্যাংওয়ে ভেঙে পড়েছে। পন্টুন ভেসে গিয়েছে। ফলে মাসের পর মাস বন্ধ থেকেছে ফেরি পরিষেবাও।

হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির এক কর্তা বলেন, ‘‘কটালের বানের ধাক্কায় শিবপুর ঘাটের কংক্রিটের সিঁড়ি ভেঙে গিয়েছে, কংক্রিটে বাঁধানো নদীর পাড়ও মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বার বার ক্ষতি হচ্ছে ফেরিঘাটেরও। এই ঘাটের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা না করলে আরও বড় ক্ষতি হতে পারে।’’

Advertisement

ওই ঘাট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার? রাজ্য পরিবহণ দফতরের দাবি, তাদের দায়িত্বে রয়েছে ফেরিঘাট ও জেটির রক্ষণাবেক্ষণ। নদীপাড়ের মেরামতির দায়িত্ব হাওড়া পুরসভার। রাজ্যের পরিবহণ সচিব রাজেশ সিংহ বলেন, ‘‘ঘাটের পাশে পাড়ের দেখভাল করার কথা হাওড়া পুরসভার। আমরা লঞ্চ পরিষেবার জেটির দেখাশোনা করি।’’ হাওড়া পুরসভার বক্তব্য, গঙ্গার ঘাট মেরামত করা তাদের কাজ নয়। শিবপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্ব যেহেতু রাজ্য পরিবহণ দফতরের, তাই তারাই বলতে পারবে পাড়ের দায়িত্বে কারা আছে। তবে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য ছোটখাট মেরামতি পুরসভাই করে নেয় বলে জানানো হয়েছে।

হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘গঙ্গার ঘাটগুলি আমাদের এলাকা নয়। ওটা কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের জমি। তবে যখন কোনও উৎসব থাকে বা প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়, সেই সময়ে আমরাই ছোটখাটো মেরামত করে নিই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন