Protest against Chemical Factory

রাসায়নিক কারখানায় আপত্তি, বিক্ষোভ গ্রামে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কারখানা তৈরির জন্য বছর দুয়েক আগে সর্বমঙ্গলা গ্রামে পান্ডুয়া থেকে গুড়াপ যাওয়ার রাস্তার ধারে ওই জমি কেনেন ওড়িশার এক ব্যবসায়ী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৭
Share:

পোস্টার হাতে কারখানার সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।

রাসায়নিক কারখানা তৈরি হচ্ছে পান্ডুয়ার হরাল-দাসপুর পঞ্চায়েতের সর্বমঙ্গলা গ্রামে। বিষয়টি জেনেই আপত্তি তুলেছেন আশপাশের আট-ন’টি গ্রামের মানুষ। বুধবার তাঁরা বিক্ষোভও দেখালেন।

Advertisement

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাসায়নিক কারখানা হলে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। প্রভাব পড়বে ফসল বা জলাশয়েও। দূষণে সার্বিক ভাবে পরিবেশের ক্ষতি হবে। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, অন্য কোনও কারখানা হলে তাঁদের আপত্তি নেই।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই গ্রামের প্রায় পাঁচ একর জমিতে কারখানাটি তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রশাসনের আধিকারিক, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক এবং কারখানার কর্তারা। গ্রামবাসীরা একযোগে তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়ে দেন। বৈঠক শেষে আধিকারিকেরা ফিরে যাওয়ার পরে বিকেলে সর্বমঙ্গলা, কুলবাড়ুই, মসুরিয়া, সোনাটিকরি, ফতেপুর প্রভৃতি গ্রামের মানুষ পোস্টার হাতে কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান।

Advertisement

বিডিও বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষদের কথা আমরা শুনেছি। জেলা প্রশাসনে এ বিষয়ে আলোচনা করব।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কারখানা তৈরির জন্য বছর দুয়েক আগে সর্বমঙ্গলা গ্রামে পান্ডুয়া থেকে গুড়াপ যাওয়ার রাস্তার ধারে ওই জমি কেনেন ওড়িশার এক ব্যবসায়ী। মাস ছয়েক আগে বড় বড় পাঁচটি চিমনি এবং টিনের শেড তৈরি হয়। তখনই স্থানীয় মানুষজন রাসায়নিক কারখানার কথা জানতে পারেন। ক্ষোভ দানা বাঁধে। এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন, শেখ সহিদুল ইসলাম প্রমুখের বক্তব্য, ‘‘কারখানা হোক, এলাকার উন্নয়ন হোক। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু রাসায়নিক কারখানা নয়। এই কারখানা হলে দূষণ ছড়াবে। মানুষের শরীর খারাপ হবে। সেই কারণেই আমরা এর বিরুদ্ধে ব্লক এবং জেলার বিভিন্ন সরকারি দফতরে লিখিত ভাবে জানিয়েছি।’’

বুধবার দুপুরে পঞ্চায়েত ভবনের সামনে তাঁবু খাটিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় এসেছিলেন চার-পাঁচটি গ্রামের মানুষ। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) কুহুক ভূষণ, বিডিও সেবন্তী বিশ্বাস, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক। পুলিশ আধিকারিকও ছিলেন। গ্রামবাসীরা জানান, অন্য কোনও কারখানা করা হোক।

নির্মীয়মাণ ওই কারখানার কর্তৃপক্ষের তরফে জীবন পট্টনায়েক বলেন, ‘‘আমরা সরকারি অনুমতি নিয়েই কারখানা তৈরি করছি। ছয় মাসের বেশি কারখানা তৈরির কাজ চলছে। উৎপাদন চালু হয়নি। যাঁরা আপত্তি জানাচ্ছেন, ভুল করছেন। ওঁরা দূষণের যে আশঙ্কা করছেন, তা অমূলক। সমস্ত বিধিনিয়ম মেনেই কারখানা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন