Serampore Power cut

লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, অবরুদ্ধ সড়ক

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড উন্নয়ন কমিটির ডাকে মানুষজন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করে বেলা ১২টা নাগাদ ওই কার্যালয়ের সামনে আসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৩ ০৭:৩১
Share:

রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার শ্রীরামপুরের চাতরা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

বেজায় গরমে নিয়ম করে লোডশেডিংয়ের জেরে বাড়তে থাকা ক্ষোভ নেমে এল রাস্তায়। হুগলির বৈদ্যবাটী পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হরিদাস পালের নেতৃত্বে সোমবার সেখানকার কয়েকশো মহিলা-পুরুষ শ্রীরামপুরের চাতরা এলাকায় জিটি রোডের ধারে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই সড়ক।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড উন্নয়ন কমিটির ডাকে মানুষজন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করে বেলা ১২টা নাগাদ ওই কার্যালয়ের সামনে আসেন। জিটি রোড কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় যান চলাচল থমকে যায়। নাকাল হন গাড়িচালক, আরোহীরা। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ এলে তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা হয়। আন্দোলনকারীদের অনেকে জিটি রোডে বসে পড়েন। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে কাউন্সিলর-সহ কয়েক জন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার স্টেশন ম্যানেজারের দফতরে স্মারকলিপি দেন। তার পরে বিক্ষোভ থামে।

কাউন্সিলর জানান, লোডশেডিংয়ের সমস্যার দ্রুত সমাধান বাদেও স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, আবেদনের ভিত্তিতে বাড়িতে সাব-মিটার দিতে হবে। তিন মাসের পরিবর্তে বিদ্যুতের বিল প্রতি মাসে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। তিনি বলেন, ‘‘স্টেশন ম্যানেজার ছিলেন না। তিনি টেলিফোনে আমাদের বলেন, সমস্যা মেটাতে পরিস্থিতির কথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।’’

Advertisement

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রমীলা সাহা, সীমা বিশ্বাস, চুমকি মণ্ডলেরা বলেন, ‘‘প্রবল গরমে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে দুর্বিষহ অবস্থা। রাতেও শান্তি নেই। জেগে কাটাতে হচ্ছে। বিদ্যুতের বিলও বেশি আসছে। এর বিচার চাই।’’ পরিষেবায় ঘাটতি নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ, অভিযোগ জানাতে বিদ্যুৎ দফতরে ফোন করলে প্রায়ই বেজে যায়। আগে এই খামতি ছিল না। সমস্যা হলে দ্রুত সমাধান করা হত।

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার শ্রীরামপুরের এক কর্তা জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটা বেড়ে যাওয়ার জন্যই লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। সমস্যা দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সবটা আমার হাতে নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’ লোডশেডিং বন্ধ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তিতিবিরক্ত মানুষজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন