Water crisis

নলবাহিত পানীয় জল বন্ধ, ক্ষোভ সোমরায়

জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছতে ওই পঞ্চায়েত জুড়ে পাইপ লাইন বসানো হচ্ছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২৩
Share:

অন্য জায়গা থেকে এ ভাবেই জল নিয়ে আসতে হচ্ছে গ্রামবাসীকে। নিজস্ব চিত্র

প্রচণ্ড গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। পানীয় জলের চাহিদা বেড়েছে। অথচ, হুগলির বলাগড় ব্লকের সোমরা-২ পঞ্চায়েতের বেলগাছি গ্রামে মাস দুয়েক ধরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নলবাহিত পানীয় জল কার্যত মিলছে না। এ নিয়ে গ্রামের মানুষের ক্ষোভ চড়ছে।

Advertisement

জেলা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের এগ্‌জ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছতে ওই পঞ্চায়েত জুড়ে পাইপ লাইন বসানো হচ্ছে। কিছু গ্রামে বাড়ি বাড়ি সংযোগ হয়ে গিয়েছে। সেখানে পরীক্ষা (ট্রায়াল) চলেছে। যেখানে সমস্যা হচ্ছে, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, এই প্রকল্পে রাস্তাতেও কিছু ট্যাপকল বসছে। রাস্তায় পুরনো যে সব ট্যাপকল রয়েছে, সেগুলি সংস্কার করা হচ্ছে।

বলাগড় ব্লক আর্সেনিকপ্রবণ। এই কথা স্মরণ করিয়ে ভুক্তভোগী মানুষজনের দাবি, সমস্যা দ্রুত মেটানো হোক। কারণ, তাঁরা সাধারণ নলকূপ থেকে পানীয় জল নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাতে আর্সেনিক মিশে থাকছে কি না, তাঁরা জানেন না।

Advertisement

বেলগাছি গ্রামের বাসিন্দা রুম্পা মণ্ডল বলেন, ‘‘নলবাহিত পানীয় জল বাড়িতে এসেছে চার মাস। দু’মাস পরেই জল আসা বন্ধ। পাশের সাধারণ নলকূপ থেকে পানীয় জল নিতে হচ্ছে। ওই জল পরিশুদ্ধ কি না, জানি না। পঞ্চায়েতকে জানানো হলেও, তারা উদাসীন।’’ স্থানীয় যুবক দিলীপ পণ্ডিতের কথায়, ‘‘দু’মাস হয়েছে বাড়িতে ট্যাপকল এসেছে। সপ্তাহখানেক জল পেয়েছি। তার পরে আর জল পড়ছে না। প্রায় দু’শো মিটার দূরের সাধারণ নলকূপ থেকে পানীয় জল আনছি।’’

সঙ্কটের কথা মালুম হচ্ছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের বক্তব্যেও। পঞ্চায়েত প্রধান শোভা বিশ্বাস জানান, বাম আমল থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নলবাহিত পানীয় জল ১১টি বুথের অধিকাংশ জায়গায় সরবরাহ হত রাস্তায় বসানো ট্যাপকলের মাধ্যমে। বর্তমানে ২-৩ তিনটি বুথে ওই জল সরবরাহ হয়। বাকিগুলি কার্যত বন্ধ। নতুন করে পাঁচটি বুথের পঞ্চাশ শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছেছে। তাঁর দাবি, কোনও বাড়িতে যে ওই জল বন্ধ, তিনি জানতেন না। সোমবার মশড়া এবং সোমরা গ্রামের কয়েক জনের কাছে বিষয়টি জেনেই সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে জানিয়েছেন।

প্রধান বলেন, ‘‘জলের সমস্যা রয়েছে, এটা বাস্তব। বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল চালু হয়ে গেলেই সমস্যা পুরোপুরি মিটে যাবে। আশা করব, যত শীঘ্র সম্ভব এই কাজ হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন