রিষড়ায় ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
Chhath Puja 2023

ছট: সাজছে ঘাট, জোর নিরাপত্তায়

রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উদ্বোধনের জন্য প্রেমমন্দির ঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, আলো লাগানো হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা থাকবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রিষড়া শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:৫২
Share:

রিষড়ায় গঙ্গার প্রেমমন্দির ঘাট পরিদর্শনে জেলাশাসক মুক্তা আর্য। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।

ছটপুজো রবিবার। হুগলির উত্তরপাড়া থেকে বলাগড় পর্যন্ত গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে সাফাই চলছে। প্রশাসনের বক্তব্য, ছটে নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী থাকবেন। গঙ্গায় ভেসেলে নজরদারি চলবে। তৈরি থাকবে স্পিডবোট। রবিবার বিকেলে সূর্যাস্ত এবং সোমবার ভোরে সূর্যোদয়ের সময় গঙ্গায় পুজো হবে। রিষড়ায় প্রেমমন্দির ঘাটে ছটপুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘাটে সুষ্ঠু ভাবে পুজোর বন্দোবস্ত এবং নিরাপত্তায় বিশেষ নজর থাকছে প্রশাসনের।

Advertisement

রিষড়ার পুরপ্রধান বিজয়সাগর মিশ্র জানান, মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল উদ্বোধনের জন্য প্রেমমন্দির ঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, আলো লাগানো হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা থাকবেন। পাড়ের পাশাপাশি গঙ্গা থেকে নজরদারি চলবে। প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। বৃহস্পতিবার এই ঘাট পরিদর্শন করেন জেলাশাসক মুক্তা আর্য এবং মহকুমাশাসক (শ্রীরামপুর) শম্ভুদীপ সরকার। বুধবার চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, ডিসি (শ্রীরামপুর) অরবিন্দ কুমার আনন্দও পরিদর্শন করেন।

পুরপ্রধান জানান, রিষড়ায় মোট ৯টি ঘাটে ছটপুজো হবে। প্রতিটি ঘাট সাফাই করা হচ্ছে। আলোও লাগানো হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য মাইকে ঘোষণা করা হবে। নিষিদ্ধ বাজি না পোড়ানোর আর্জিও জানানো হবে। এ ব্যাপারে ছটপুজো কমিটিগুলির সাহায্য নেওয়া হবে। শহরের ৩টি সুইমিং ক্লাবকে অনুরোধ করা হয়েছে, তাদের দক্ষ সাঁতারুরা যাতে ঘাটে উপস্থিত থাকেন। স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও নৌকা নিয়ে থাকবেন। প্রয়োজনে উদ্ধারের কাজে হাত বাড়াবেন।

Advertisement

শ্রীরামপুরে প্রায় ২০টি ঘাটে ছটপুজো হয়। পুরপ্রধান গিরিধারী সাহা বৃহস্পতিবার পুর-পারিষদ (জঞ্জাল) পিন্টু নাগ-সহ স্যানিটারি কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখেন। পুরপ্রধান জানান, প্রত্যেকটি ঘাট পরিষ্কার করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত আলো, পানীয় জলের বন্দোবস্ত থাকবে। বেশি ভিড় হয় ৩ নম্বর ঘাট, নিশান ঘাট, দে ঘাট, সুরকি ঘাট, লক্ষ্মী ঘাটে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটি ঘাটে কংক্রিটের ঢালের জন্য গঙ্গায় নামতে বা সেখানে দাঁড়িয়ে পুজো দিতে অসুবিধা হয়। সে জন্য সেখানে সিঁড়ি তৈরির জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি। কেএমডিএ পরিদর্শন করেছে। আশা করছি, পরের বার ওই ব্যবস্থা হবে।’’

ভদ্রেশ্বরে চারটি ঘাট সংস্কার করা হয়েছে। তেলিনিপাড়া শিবতলাঘাট ও শ্যামনগর নর্থ জুট মিল সংলগ্ন ঘাটে যাওয়ার রাস্তা প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছে। চাঁপদানিতে চারটি ঘাট সাজানো হয়েছে। এখানকার ইন্দিরা ময়দান ঘাটে জমায়েত বেশি হয়। ঘাটটি সংস্কারের কাজ চলছে। বৈদ্যবাটীর পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো জানান, শেওড়াফুলি ছাতুগঞ্জ ঘাট ও বৈদ্যবাটী শ্যাম চ্যাটার্জি ঘাটে ভিড় হয় বেশি। শ্রীরামপুরের মতো এখানেও কয়েকটি ঘাটে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ার বিভিন্ন ঘাটে যান পুরসভার প্রতিনিধিরা।

চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে পুলিশ, পুরসভা ব্যস্ত। রবিবার ষষ্ঠী ও সপ্তমী। সোমবার অষ্টমী। রবিবার বিকেলে মণ্ডপমুখী জনস্রোতের পাশাপাশি ছটের গঙ্গামুখী ভিড় সামাল দিতে যাবতীয় বন্দোবস্ত সারা বলে তাদের দাবি। ঘাটগুলিতে বিশেষ নজরদারি থাকবে পুলিশ ও পুরসভার। ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়ালের বক্তব্য, জগদ্ধাত্রী ও ছটপুজো একই সময়ে আগেও হয়েছে। কোনও অসুবিধা হয়নি। এ বারেও সুষ্ঠ ভাবেই দুই পুজো হবে। শহরের ১১টি ঘাটে ছটপুজো হবে।

ছটের সময় বাঁশবেড়িয়া মেতে থাকবে কার্তিক পুজোয়। হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশ জানিয়েছে, দুই উৎসবই যাতে নির্বিঘ্নে চলে, তার ব্যবস্থা হচ্ছে। ঘাটে এবং পথে অতিরিক্ত সংখ্যায় পুলিশ থাকবে। উপ-পুরপ্রধান শিল্পী চট্টোপাধ্যায় জানান, মূলত ডানলপ, পানমৌরি, সুরকিমিল, পঞ্চাননতলা এবং রাজা ঘাটে ছটের ভিড় হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন