BJP

BJP: বিজেপির জেতা চার কেন্দ্রে উন্নয়নের কাজ নিয়ে সংশয়

রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে ‘সাপ-নেউল’ সম্পর্কের আবহে উন্নয়ন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২১ ০৭:১১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

হুগলির ১৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে চারটিতে জিতেছে বিজেপি। চারটিই আরামবাগ মহকুমায়। বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার দু’মাস পেরিয়ে এলাকার উন্নয়নে কতটা উদ্যোগী গোঘাট, আরামবাগ, খানাকুল ও পুরশুড়ার নির্বাচিত চার জনপ্রতিনিধি? জনমানসে এই প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

সাধারণ মানুষের একাংশের অভিযোগ, বিধায়কদের দেখা মিলছে না। কদাচিৎ এলেও বুড়িছোঁয়া করে চলে যাচ্ছেন অথবা তৃণমূল নেতাদের খেদিয়ে দিচ্ছেন। ফলে, বিধায়কের কাছে অভাব-অভিযোগ জানানো যাচ্ছে না। রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে ‘সাপ-নেউল’ সম্পর্কের আবহে উন্নয়ন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে।

এ ব্যাপারে শাসক দলের নেতাদের দুষছেন গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওঁরা এলাকায় ঘুরতে দিচ্ছেন না। তারমধ্যেই যেখানে যেতে পারছি, বা ফোনে ১০০ দিনের কাজ না-পাওয়া, জরিমানা আদায় প্রভৃতি অভিযোগ পাচ্ছি। তার সমাধানে বিডিও এবং পুলিশের সঙ্গে কথা বলছি।’’ কী কী কাজে উদ্যোগী হয়েছেন, এই প্রশ্নে বিশ্বনাথবাবুর দাবি, ভাবাদিঘিতে রেললাইন পাতার সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান চেয়ে রেল মন্ত্রক এবং রাজ্যের ভূমি দফতরে চিঠি দিয়েছেন। বিধায়ক তহবিলের টাকায় কী কী করা যায়, সেই পরিকল্পনা করছেন। উন্নয়নের কাজে তৃণমূল নেতাদের সহযোগিতাও চাইবেন।

Advertisement

বিশ্বনাথবাবুর অভিযোগ উড়িয়ে এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, ‘‘কেউ বাধা দিচ্ছেন না। উনিই আসছেন না। উন্নয়নের কাজে সহযোগিতা চাইলে আমি এবং দল সব সময় তৈরি।’’

কাজের ক্ষেত্রে শাসক দলের পাশাপাশি প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ তুলছেন খানাকুলের বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। তাঁর ক্ষোভ, ‘‘বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও খানাকুল-২ ব্লকে কারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পেলেন, সেই তালিকা পেতে আমাকে তথ্যের অধিকার আইনে চিঠি দিতে হচ্ছে।’’ তিনি জানান, এলাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী কয়েকটি ছোট সেতু নির্মাণে তিনি প্রাধান্য দিচ্ছেন। গড়েরঘাট বা পানশিউলি থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে যোগাযোগের জন্য রূপনারায়ণ নদের উপরে সেতুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি পাঠানোর তোড়জোড় করছেন।’ তৃণমূল নেতৃত্ব বা প্রশাসনের আধিকারিকরা বিধায়কের তোলা অভিযোগ মানেননি।

আরামবাগের বিধায়ক মধুসূদন বাগের বক্তব্য, গ্রামীণ উন্নয়নের মূল তিনটি ক্ষেত্র— স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সমবায়ের সমস্যা তিনি জানতেই পারছেন না। কেননা, এলাকার এই তিন ক্ষেত্রের পরিচালন সমিতিতে পদাধিকার বলে বিধায়কের থাকার কথা থাকলেও তাঁকে সেই জায়গা এখনও দেওয়া হয়নি। মধুসূদনবাবু জানিয়েছেন, উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কৃষ্ণচন্দ্র বলেন, ‘‘সহযোগিতা চাইলে আমরা অসুবিধা নেই।’’

তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পুরশুড়ার বিধায়ক তথা বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের বক্তব্য, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়েই তিনি এলাকায় ঘুরছেন। মানুষের অভাব-অভিযোগ খাতায় লিখে রাখছেন। সেই মতো বিধায়ক তহবিলের টাকায় প্রকল্পের পরিকল্পনা করছেন। ভোটের আগে তিনি পুরশুড়ায় আনাজের হিমঘর নির্মাণের কথা বলেছিলেন। সে ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কাছে দরবার করবেন। উন্নয়নের কাজে জেলা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলেও
তিনি জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement