Death

পড়ে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যুতে রহস্য হাওড়ায়

শনিবার গভীর রাতে এলাকাবাসী ভারী কিছু নীচে পড়ার শব্দ শোনেন। এর পরেই তাঁরা খোঁজাখুঁজি শুরু করলে কারখানাটির নর্দমার মধ্যে ওই শ্রমিককে পড়ে থাকতে দেখেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ০৬:২১
Share:

ঘটনার রাতে কারখানাটির সামনে গলির ভিতরে একটি নর্দমায় এক শ্রমিকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রতীকী ছবি।

কারখানার ছাদ থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। শনিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার দাশনগরের বালিটিকুরি কালীতলায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম রাজারাম পাসোয়ান (২৬)। বাড়ি বিহারে। ঘটনার রাতে কারখানাটির সামনে গলির ভিতরে একটি নর্দমায় ওই শ্রমিকের দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানেই কাজ করতেন রাজারাম। কারখানার অন্য শ্রমিক ও স্থানীয়েরা দেহটি পড়ে থাকতে দেখে দাশনগর থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে মৃত ঘোষণা করা হয়। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার গভীর রাতে এলাকাবাসী ভারী কিছু নীচে পড়ার শব্দ শোনেন। এর পরেই তাঁরা খোঁজাখুঁজি শুরু করলে কারখানাটির নর্দমার মধ্যে ওই শ্রমিককে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁরা দাশনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

কিন্তু রাজারামের মৃত্যু কী ভাবে হল, তা নিয়েই রহস্য দানা বেঁধেছে। ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে মানতে নারাজ রাজারামের পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজারামকে মেরে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, উপর থেকে নীচে আছড়ে পড়লে রাজারামের হাত-পা ভেঙে যেত বা মাথায় চোট লাগতে পারত। কিন্তু তাঁর শরীরে কোথাও তেমন চোট নেই। শুধু মুখে-চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি, পুলিশ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করুক।

Advertisement

যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, রাজারাম কারখানার তেতলা থেকে কোনও ভাবে পড়ে গিয়েছেন। এটি দুর্ঘটনা ছাড়া কিছু নয়। রাজারাম কারখানাতেই থাকতেন। মাত্র তিন মাস আগে তিনি কাজে যোগ দেন। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, ঠিক কী ভাবে ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে দেহের ময়না তদন্ত করা হচ্ছে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন