sankrail

প্রধানের ইস্তফা, ভোটের মুখে শোরগোল সাঁকরাইলে

দু’বছর আগে দুর্নীতির অভিযোগে কেহকেশানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ। তার জেরে তাঁকে প্রধান পদ থেকে সরতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২৩
Share:

বানুপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। নিজস্ব চিত্র

পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন। এর মধ্যেই সোমবার হাওড়ার সাঁকরাইল ব্লকের বানুপুর-১ পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের কেহকেশান খাতুনের ইস্তফা ঘিরে সরগরম স্থানীয় রাজনীতি। বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই প্রধানের এই সিদ্ধান্ত। সে কথা মানছে না শাসক দল।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, সোমবার বিডিও দফতরে ইস্তফাপত্র জমা দেন প্রধান। বিডিও নাজিরুদ্দিন সরকার বলেন, ‘‘ইস্তফাপত্র পেয়েছি। খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ প্রধানের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তিনি ফোন ধরেননি।

দু’বছর আগে দুর্নীতির অভিযোগে কেহকেশানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ। তার জেরে তাঁকে প্রধান পদ থেকে সরতে হয়। দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে তিনি আদালতে যান। আদালতের নির্দেশে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফের তিনি প্রধানের পদে বসেন। তার দু’মাস পরে তিনি নিজেই সরে দাঁড়াতে চাইলেন।

Advertisement

পঞ্চায়েতের মেয়াদের শেষবেলায় প্রধানের ইস্তফা নিয়ে সিপিএমের সাঁকরাইল এরিয়া কমিটির সম্পাদক অপর্ণা দত্ত বলেন, ‘‘এখানে কোনও উন্নয়ন করেনি পঞ্চায়েত। নিজেদের মধ্যে কোন্দল আর দুর্নীতিতেই ব্যস্ত থেকেছে। ৩-৪ বার অনাস্থা আনতেই গত ৫ বছরে কেটে গিয়েছে।’’ বিজেপির সাঁকরাইল মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক সত্যেন্দ্র যাদবের বক্তব্য, ‘‘রাস্তায় আলো নেই। নলকূপে জল নেই। রাস্তা বেহাল। তৃণমূলের পঞ্চায়েত এখানে কোনও কাজ করেনি। শুধু নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে। প্রধানের পদত্যাগ তারই ফলশ্রুতি।’’

তৃণমূলের সাঁকরাইল কেন্দ্রের সভাপতি অমৃত বসুর দাবি, ‘‘দলের নির্দেশেই প্রধান পদত্যাগ করেছেন। ওঁর বিরুদ্ধে বার বার অনাস্থা আসছিল। সোমবারও অনাস্থা আনার কথা ছিল। তাই, দল ওঁকে ইস্তফার নির্দেশ দেয়। উনি সেই নির্দেশ মেনেছেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আমাদের দলে নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন