Howrah

Militant: হাওড়ায় আল কায়দা, মুজাহিদিনের আস্তানা! ওয়াই-ফাইয়ে দেখাচ্ছে দুই নাম, পিছনে কারা?

মোবাইলে বা কম্পিউটারে ওয়াই-ফাই অন করলেই দেখাচ্ছে দু’টি নেটওয়ার্ক দেখা যাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনের নামে। আর তা নিয়েই বাড়ছে উদ্বেগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২২ ১৮:২২
Share:

জঙ্গি সংগঠনের নামে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক হাওড়ায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

ঘরের কাছেই কি জঙ্গিদের গোপন আস্তানা? মোবাইলে বা কম্পিউটারে ওয়াই-ফাই অন করলেই দেখাচ্ছে দু’টি নেটওয়ার্ক— দুই জঙ্গি সংগঠনের নামে। আর তাতেই চোখ কপালে উঠেছে হাওড়ার অম্বিকা কুন্ডু বাই লেন এলাকার প্রযুক্তি-প্রেমীদের। এর পিছনে কারা? সত্যিই কি ওই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক দু’টি চালাচ্ছে কোনও জঙ্গি সংগঠন? এ সব নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। উত্তর না জানা পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছেন না কেউই। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে বিষয়টি জানার পরে পুলিশ যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
হাওড়ার অম্বিকা কুন্ডু বাই লেন এলাকার ব্যবসায়ী সৌভিক সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘নিজের এলাকায় মোবাইল বা কম্পিউটারে ওয়াই-ফাই অন করলে আশ্চর্য এক কাণ্ড ঘটছে। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক সার্চ করলে আসছে দু’টি জঙ্গি সংগঠনের নাম। দেখাচ্ছে ‘আল কায়দা’ এবং ‘ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন’-এর মতো দু’টি জঙ্গি সংগঠনের নামে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক রয়েছে। তবে তাতে পাসওয়ার্ড দেওয়া আছে। যে কেউ ওই ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার সংযুক্ত করতে পারবেন না। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার হল, গত এক বছর ধরে এই কাণ্ড ঘটে চলেছে।’’

Advertisement

সৌভিকের দাবি, বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ভাবে তিনি হাওড়া সিটি পুলিশের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন সাইবার ক্রাইম বিভাগকেও। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে কোনও হেলদোল দেখা যায়নি পুলিশের মধ্যে। জঙ্গি সংগঠনের নামে নেটওয়ার্কের নাম কারা রেখেছে? এই উদ্বেগে ভুগছেন শৌভিকের মতো অনেককেই।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

এ নিয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার সি সুধাকর বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে এখনও কেউ লিখিত কোনও অভিযোগ করেননি। করলে আমরা তা তদন্ত করে দেখব।’’ অবশ্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাওড়ার অম্বিকা কুন্ডু বাই লেন এলাকায় যান পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা ওই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক নিয়ে খোঁজখবর করেন।

Advertisement

এ নিয়ে সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা মজা করা হতে পারে। কারণ জঙ্গিরা এমন ভাবে মেসেজ পাঠায় যা সহজে ডিকোড করা যায় না। বুক ফুলিয়ে জঙ্গি সংগঠনের নাম হয়তো কেউ বলবে না। তবে তদন্ত না করে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা মুশকিল। কারণ অনেকে আছে যারা সংগঠনের নাম বুক ফুলিয়ে বলতে ভালবাসে। এমন নাম দেওয়া সাধারণত অপরাধ নয়। কিন্তু এই নামে যদি কেউ ভয় পেয়ে থাকেন তবে তা অপরাধ। তবে অভিঘাত কতটা হচ্ছে সেটা যাচাই করে দেখার বিষয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন