জাতীয় সড়কগুলিতে দুর্ঘটনা রুখতে এবং যান নিয়ন্ত্রণ করতে ৩৭টি ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক গার্ড’ তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার হাওড়ার বাগনান ট্রাফিক পুলিশের ভবন উদ্বোধনে এসে এ কথা জানান রাজ্যের এডিজি-১ (ট্রাফিক) বিবেক সহায়। বিভিন্ন জাতীয় সড়কের যে সব জায়গা দুর্ঘটনাপ্রবণ, সেখানেই ওই ট্রাফিক গার্ড করা হবে।
এডিজির কথায়, ‘‘২০১৬ সালে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক গার্ড গড়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এ বারে তা কার্যকর করা হবে। ট্রাফিক গার্ডের অধীনে ব্রেক ডাউন ভ্যান, অ্যাম্বুল্যান্স সবই থাকবে। উদ্দেশ্য হল, দুর্ঘটনা এবং হতাহতের সংখ্যা কমানো।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘন ঘন দুর্ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কগুলি ‘মৃত্যুফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। গাড়ির ‘লেন’ ভাঙা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা— এই সব কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে। ২০০৯ সালেই কেন্দ্র সরকার জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা কী ভাবে কমানো যায়, তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গড়ে। সেই কমিটির রিপোর্টেই ‘ডেডিকেটেড হাইওয়ে পুলিশ’ গড়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। যা অনেকটা সিআইএসএফ-এর ধাঁচে, যাদের একমাত্র কাজ শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা দেখা। এ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে বিস্তর চিঠি চালাচালি হয়। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় ‘ডেডিকেটেড হাইওয়ে পুলিশ’ নয়, রাজ্য সরকার ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক গার্ড’ গড়বে। জাতীয় সড়কে যান নিয়ন্ত্রণে দক্ষ এমন পুলিশকর্মীদের দিয়েই ওই গার্ডগুলি চালানো হবে বলে এডিজি জানান।
হাওড়া জেলায় দু’টি ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক গার্ড’ করা হবে। কিন্তু কোথায় সেগুলি করা হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। এডিজি জানান, হাওড়ায় মুম্বই রোডে কোন কোন এলাকা দুর্ঘটনাপ্রবণ, সেগুলি জেলা পুলিশ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পাঠাবে। সেই রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই পরিবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।