হুগলিতে নতুন চারটি কর্মতীর্থের উদ্বোধন হল মঙ্গলবার।
এ দিন আরামবাগের আরান্ডি, বলাগড়ের ইছাপুর, ধনেখালি বাসস্ট্যান্ড এবং বাঁশবেড়িয়ার রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় ওই কর্মতীর্থগুলির উদ্বোধন হয়। এই নিয়ে গত তিন বছরে জেলায় ৮টি কর্মতীর্থ চালু হল। এখনও বাকি ১২টি।
হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ দিন যে চারটি কর্মতীর্থের উদ্বোধন হয়েছে সেগুলি সংখ্যালঘু বিষয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনে রয়েছে। এর আগে এই জেলায় চণ্ডীতলা ২, পুরশুড়া, পোলবা এবং চুঁচুড়া-মগরা ব্লকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের তহবিলের অর্থে কর্মতীর্থ চালু হয়েছিল।
২০১৪ সালের মাঝামাঝি রাজ্যের প্রতি ব্লকে একটি করে কর্মতীর্থ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এগুলি আসলে মার্কেট কমপ্লেক্স। বলা হয়েছিল, ব্যবসা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ ও অর্থসংস্থান-সহ পরিকাঠামো করে দেবে রাজ্য সরকার। সেখান থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, গ্রামীণ কারিগর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজেদের তৈরি করা জিনিস বিক্রি করতে পারবেন। হুগলি জেলার ১৮টি ব্লকে ২০টি কর্মতীর্থ গড়ার ছাড়পত্র মেলেছিল। এই জেলায় প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর, সংখ্যালঘু বিষয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর এবং স্বনির্ভরগোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরকে ভাগাভাগি করে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার যে চারটি কর্মতীর্থের উদ্বোধন হয় সবকটিই দোতলা। প্রতিটিতে রয়েছে ৪৮টি স্টল। সংখ্যালঘু বিষয় এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনে কর্মতীর্থ তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “বাকি কর্মতীর্থগুলির কাজ এ বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।”
হুগলি জেলায় বাকি দুই দফতরের অধীনে কর্মতীর্থগুলির অবস্থা কেমন? অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেলা পরিষদ) শ্রাবণী ধর বলেন, “কয়েকটির কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকটির জমির সমস্যা রয়েছে। সেগুলির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসন বিকল্প জায়গার ব্যবস্থা করছেন।”