মুম্বই রোডে নটি নজর মিনার বসাচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের আইজি (ট্রাফিক) মনোজ বর্মা হাওড়ায় আসেন। গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমারকে সঙ্গে নিয়ে কোন জায়গায় নজর মিনার বসবে তা সরেজমিন পরিদর্শন করে চূড়ান্ত করেন। ডোমজুড়ের নিবড়া এক্স রিং এবং অঙ্কুরহাটি, সাঁকরাইলের জঙ্গলপুর কাট আউট ও ধূলাগড় এক্স রিং, পাঁচলার পানিয়াড়া কাট আউট, ধামসিয়া কাট আউট, পাঁচলা বাউড়িয়া মোড়, উলবেড়িয়ার খলিসানি কালীতলা এক্স রিং এবং নিমদিঘি ক্রসিংয়ে বসছে নজর মিনার।
পুলিশ জানিয়েছে মিনারগুলির উচ্চতা হবে অন্তত ২০ ফুট। ৮ জন বসতে পারবেন মিনারে। সেখানে সিসিটিভি ছাড়াও থাকবে এমপিআর ক্যামেরা। এর ফলে অনেক দূরের ঘটনার ছবি তোলা এবং কথাবার্তা রেকর্ডিং করার ব্যবস্থা থাকবে। জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত নজর মিনারগুলি তৈরি হলে পুলিশ আরও দক্ষতার সঙ্গে দুর্ঘটনা ও অপরাধমূলক কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
মুম্বই রোডে দুর্ঘটনা এড়াতে এবং অপরাধীদের ধরতে এর আগে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো বহু জায়গায় সিসিটিভি বসলেও দুর্ঘটনা কমানো যায়নি। শুধু তাই নয়, অপরাধমূলক কাজও করে মুম্বই রোড ধরে পালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ধূলাগড়, পাঁচলা, খলিসানি কালীতলার মতো জায়গা সাম্প্রতিককালে শিরোনামে এসেছে গোষ্ঠীসংঘর্ষের জন্য। এই সব কারণেই সার্বিক নজরদারি দরকার বলে মনে করছে পুলিশ, যা শুধু সিসিটিভি বসিয়ে সম্ভব নয়। পাশাপাশি বহু ক্ষেত্রেই গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ, লেন ভেঙে অন্য লেনে গাড়ি ঢুকে পড়ার মতো ঘটনাও পুলিশের নজর এড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে ঘটছ দুর্ঘটনা। নজর মিনার বসিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটাই সম্ভব বলে পুলিশের দাবি।
নজর মিনারগুলি বসানো হচ্ছে মূলত যে সব জায়গা দুর্ঘটনা এবং অপরাধমূলক কাজের জন্য পুলিশ চিহ্নিত করেছে। অঙ্কুরহাটি, জালান কমপ্লেক্স, ধূলাগড়ের মতো জায়গা দুর্ঘটনা বা অপরাধমূলক কাজের জন্য পুলিশের খাতায় ‘ব্ল্যাক স্পট’ হিসাবে চিহ্নিত। সেইসব জায়গায় নজর মিনার তৈরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
অন্তত ছয়টি নজর মিনার আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। বাকিগুলিও শীঘ্রই তৈরি করা হবে। এরপরেও বাকি থাকছে উলুবেড়িয়ার পর থেকে কোলাঘাট পর্যন্ত এলাকা। নয়টি নজর মিনার-এর কার্যকারিতা দেখে বাকি জায়গাতেও তা তৈরির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।