অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস
টেলিফোনে সংস্থার অন্যতম মালিককে ‘তুমি’ সম্বোধন করার ‘অপরাধে’ প্যাথলজি সেন্টারের এক কর্মীকে ছাঁটাইয়ের অভিযোগ উঠল। হুগলির আরামবাগের ঘটনা। বিকাশ চৌধুরী নামে ওই কর্মী প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও। প্যাথলজি সেন্টার কর্তৃপক্ষ অবশ্য অভিযোগ মানেননি।
বিডিও (আরামবাগ) বিশাখ ভট্টাচার্য বলেন, “শ্রম আইন লঙ্ঘিত হওয়ার অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি শ্রম দফতরকে দেখতে বলেছি।’’ মহকুমা শ্রম আধিকারিক মানস সিংহ জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেসরকারি ওই প্যাথলজি সেন্টারে বছর খানেক আগে কোষাধ্যক্ষের পদে যোগ দেন বিকাশবাবু। তিনি জানান, গত ১৮ জুন সেন্টারের অন্যতম মালিক তথা চিকিৎসক শেখ সোহরাবউদ্দিন আহমেদ ফোন করে নির্দিষ্ট একটি এক্স-রে হবে কি না, তা জানতে চান। বিকাশের অভিযোগ, ‘‘ওঁর কথা ভাল করে শুনতে পাইনি। বলি, সেন্টার খোলা আছে। তাতে তিনি বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘তুমি জান আমি কে?’ আমিও তুমি বলেই সম্বোধন করি। কেন তুমি বলেছি তা নিয়ে হুমকি েদন।’’
বিকাশের সংযোজন, ‘‘আমি পাল্টা বলি, চিকিৎসক বলেই উনি ‘তুমি’ সম্বোধন করতে পারবেন! আমিও গৃহশিক্ষকতা করি, এখানে পরিশ্রম করি। একই সম্বোধন করলে আমার ক্ষেত্রে তা কেন অপরাধ হবে!’’
বিকাশের অভিযোগ, ওই ঘটনার জেরে পরের দিন তাঁকে কাজে আসতে নিষেধ করে দেওয়া হয়। বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বকেয়াও মেটানো হয়নি। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে না বরখাস্ত, তাও জানানো হয়নি। তিনি চিঠি দিলেও উত্তর মেলেনি।
শেখ সোহরাবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘কেন তুমি বলেছি, সেই নিয়ে ওই কর্মীই চেঁচামেচি জুড়ে দেন। দুর্ব্যবহার করেন।’’ সেন্টারটি লিজে চালান দুই ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে শেখ সেলিম বলেন, “ওই চিকিৎসক তথা সংস্থার শেয়ার-হোল্ডারের কাছে ওই কর্মীকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। তিনি ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করে নিজেই সেন্টারে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। উনি এলেই পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে।’’