মিড-ডে মিলের মান খারাপ, বিক্ষোভ অভিভাবকদের

মিড-ডে মিলের মান নিয়ে অভিযোগ তুলে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকেরা রাস্তা অবরোধ করলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেও তাঁরা ঘেরাও করে রাখেন দীর্ঘক্ষণ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। সোমবার সকালে চণ্ডীতলার জনাই ট্রেনিং নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ওই ঘটনায় এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের খাবারের মান এবং পরিমাণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন অভিভাবকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জনাই শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০১:৪৪
Share:

স্কুলের সামনে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। ছবি: দীপঙ্কর দে।

মিড-ডে মিলের মান নিয়ে অভিযোগ তুলে ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকেরা রাস্তা অবরোধ করলেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেও তাঁরা ঘেরাও করে রাখেন দীর্ঘক্ষণ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। সোমবার সকালে চণ্ডীতলার জনাই ট্রেনিং নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ওই ঘটনায় এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের খাবারের মান এবং পরিমাণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন অভিভাবকেরা। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। তার উপর স্কুলের পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার কথাও অভিভাবকেরা কর্তৃপক্ষকে জানালেও সে ব্যাপারেও তাঁরা কোনও কর্ণপাত করেন না বলে অভিযোগ। এর জেরেই এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শ্রীরামপুর-ডোমজুড় রোড অবরোধ শুরু করেন ক্ষিপ্ত অভিভাবকেরা। অবরোধের জেরে রাস্তায় যানজট হয়। চণ্ডীতলা থানার ওসি তাপস সিংহ অবরোধকারীদের সরিয়ে দেন।
পুলিশ অবরোধ তুলে দেওয়ার পরে বিক্ষোভকারীরা স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নবমিতা মিত্র ঘোষকে ঘেরাও শুরু করেন। দুপুর ৩টে পর্যন্ত ঘেরাও চলে। জয়ন্তী মালিক নামে স্কুলের এক অভিভাবক বলেন, ‘‘মিড-ডে মিলের যা মান, তাতে আমরা সব সময় আতঙ্কে থাকি। বাচ্চারা খাবার খেয়ে অসুস্থ না হয়ে পড়ে! স্কুল চত্বরে ঝোপ-জঙ্গল দীর্ঘদিন ধরে কাটা হয় না। এমনকী এই গরমে অনেক সময়েই পাখা বন্ধ রাখা হয়।’’
স্কুলের খাবারের মান নিয়ে অভিভাবকদের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রধান শিক্ষিকা অবশ্য বলেন, ‘‘অভিযোগ সঠিক নয়। স্কুলের শিক্ষিকাদের যে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়, ওঁরা কিছু ক্ষেত্রে তার গুরুত্ব দেন না। এর ফলে কাজে সমস্যা হয়।’’ যদিও ওই স্কুলের সহ-শিক্ষিকা মানসী সরকারের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘মিড-ডে মিলের দায়িত্বে রয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা। পড়ুয়ার সংখ্যার তুলনায় কম বাজার করলে বা জিনিসপত্রের মান ভাল না হলে তো সমস্যা হবেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন