চেম্বারে রোগীকে ইঞ্জেকশন দিয়ে আচ্ছন্ন করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় আরামবাগের সুজলপুরের ঘটনা।
সোমবার সকালে সৈয়দ গোলাম হোসেন নামে ওই চিকিৎসকের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। পুলিশ গিয়ে ওই চিকিৎসককে উদ্ধার করে। পরে রোগিণীর স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় জ্বর নিয়ে ওই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন স্থানীয় দৌলতপুরের ওই গৃহবধূ। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী এবং সন্তান। মহিলার স্বামীর অভিযোগ, “স্ত্রীর টাইফয়েড এবং প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়েছে বলে চিকিৎসক তাঁকে ইঞ্জেকশন দেন। তার কিছুক্ষণ পরেই স্যালাইন দিতে হবে বলে জানান। স্যালাইন চলার সময় আমি ছেলেকে নিয়ে চেম্বারের বাইরে চলে আসি। পরে স্ত্রীর কাছে জানতে পারি, সে একটু আচ্ছন্ন হলে চিকিৎসক তার উপরে অত্যাচার চালায়।”
মহিলা পুলিশকে অভিযোগে বলেছেন, ‘‘চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই আমার শরীর অবসন্ন লাগছিল। পরে কাঁপুনি শুরু হয়। চিকিৎসক কাঁপুনি থামানোর ছলে আমাকে ধর্ষণ করে।” ধৃত সৈয়দ গোলাম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।