প্রতীকী ছবি।
দফতরের প্রধানের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছিলেন অস্থায়ী কর্মী, এক তরুণী। অভিযোগ, ঘটনা চাপা দিতে তাঁর চাকরির নবীকরণ হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানানোর পরে চাকরি ফিরে পেলেও তাঁকে বদলি করা হয়। সম্প্রতি তরুণী পুলিশে লিখিত অভিযোগ করায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
পুলিশ ও পুরসভা সূত্রের খবর, গত জানুয়ারিতে হাওড়া পুরসভার লাইসেন্স দফতরের এক মহিলা কর্মী পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণের কাছে অভিযোগে জানান, দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার শান্তনীড় ভৌমিক ও অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে অন্য এক কর্মী তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। প্রতিবাদ করায় তাঁর চাকরি নবীকরণ হয়নি। এর পরেই পুর কমিশনার ঘটনাটি জানান মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে। তিনি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি তরুণীকে পুনর্বহাল করতে বলেন। পুরসভা সূত্রের খবর, তদন্ত করতে জানুয়ারিতে এডুকেশন অফিসার সুপ্রিয়া হাটুয়ার নেতৃত্বে চার জনের একটি ইন্টারনাল কমপ্লেন্ট্স কমিটি গঠিত হয়েছে। তবে এখনও রিপোর্ট জমা পড়েনি।
মঙ্গলবার ওই তরুণী জানান, কয়েক বছর ধরে ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘শান্তনীড়বাবু বালি থেকে বদলি হয়ে আসার পরেই বাধ্য করেন, তাঁর ঘরে কাজ করতে। গত অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আমার উপরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন ওই দু’জন।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে শান্তনীড়বাবু বলেন, ‘‘তরুণীকে আউটডোর ডিউটি দেওয়ায় এই মিথ্যা অভিযোগ। তদন্তে সত্যি সামনে আসবে।’’ একই দাবি অন্য অভিযুক্ত অভিজিতের।
মেয়র পারিষদ (লাইসেন্স) অরুণ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘তরুণী আমাকে অভিযোগ করেননি। দফতরেরও কাউকে জানাননি।’’ পুর কমিশনার বলেন, ‘‘কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠায় ইন্টারনাল কমপ্লেন্ট্স কমিটি গঠন হয়েছে। ওই তরুণীকে চাকরিতে বহাল করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট ধারায় তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিন তরুণী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন।’’