সিপিএম কার্যালয়ে হামলায় নাম জড়াল তৃণমূলের

সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিল ব্যান্ডেলের কাজিডাঙায়। সোমবার অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করার পর দলের কর্মীরা কার্যালয় বন্ধ করে চলে যান। মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে তাঁরা এসে দেখেন কার্যালয়ের সামনে টাঙানো সমস্ত পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যান্ডেল শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৬ ০১:৩৯
Share:

ভেঙে পড়ে আছে স্মারকস্তম্ভ। ছবি: তাপস ঘোষ।

সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিল ব্যান্ডেলের কাজিডাঙায়। সোমবার অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করার পর দলের কর্মীরা কার্যালয় বন্ধ করে চলে যান। মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে তাঁরা এসে দেখেন কার্যালয়ের সামনে টাঙানো সমস্ত পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। কার্যালয়ের গেটের সামনে থাকা শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ ভেঙে ফেলা হয়েছে। চোখের আড়ালে এমন ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ না করলেও এ কাজ যে শাসক দলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের তা নিয়ে নিশ্চিত দলীয় নেতৃত্ব। যদিও এমন ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনওরকম যোগাযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজিডাঙায় সিপিএমের এই কার্যালয়টি পঞ্চাশ পছরেরও বেশি পুরনো। ১৯৬৪ সাল থেকে এটি চালু। সোমবার অনেক রাত পর্যন্ত ভোটের কাজকর্ম করে নেতা-কর্মীরা চলে যান। মঙ্গলবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চুঁচুড়া বিধানসভার ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থী প্রণব ঘোষ সহ অন্যান্য নেতারা। পুলিশ তদন্তে আসে। ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে এ দিন বিকেলে এলাকায় এক প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। সিপিএমের পক্ষ থেকে রির্টানিং অফিসারের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে।

সিপিএমের ব্যান্ডেল লোকাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক এবং লোকাল কমিটির সদস্য মলয় সরকার বলেন, ‘‘আমাদের এই কার্যালয়ে কোনওদিনই হামলা হয়নি। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। কার্যালয়ের ভিতরের কোনও ক্ষতি করতে না পারলেও বাইরে থাকা শহিদ-স্মারক স্তম্ভ থেকে দলীয় পতাকা সবই নষ্ট করে দিয়েছে। এ ভাবে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে।’’ চুঁচুড়া-মগরা ব্লক তৃণমূল যুবার সভাপতি তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর এ ধরনের কাজের সঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। আমাদের দলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন