প্রতিবাদ: সড়ক অবরোধ ব্যবসায়ীদের। নিজস্ব চিত্র
তারকেশ্বর, চুঁচুড়ার পরে এ বার পুরশুড়া। খুচরো লেনদেন নিয়ে সমস্যার জেরে ফের পথ অবরোধ।
বাজারে চলে আসা প্রচুর খুচরো নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই জেরবার সাধারণ মানুষ। কিছু দিন আগেই তারকেশ্বরের বালিগোড়িতে পথ অবরোধ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। ব্যাঙ্কেও বিক্ষোভ হয়। গত সপ্তাহেই খুচরো নিয়ে কী করবেন, কোথায় যাবেন বুঝতে না-পেরে চুঁচুড়ার হুগলি মোড়ে জি টি অবরোধ করেছিলেন জনা পনেরো দৃষ্টিহীন ভিখারি। একই কারণে শনিবার দুপুরে পুরশুড়ার সোদপুর বাজারে অবরোধ করল স্থানীয় বাজার কমিটি। প্রায় এক ঘণ্টা ওই অবরোধের জেরে নাকাল হন যাত্রীরা। পুলিশ এসে এক সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের চেষ্টার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
সোদপুর, মসিনান এবং রাউতাড়া— এই তিনটি গ্রামের বাজার মিলিয়ে ওই বাজার কমিটি। সব মিলিয়ে ৬৫০ জন দোকানদার রয়েছেন। বাজার কমিটির সম্পাদক অমর বেরার অভিযোগ, “খুচরো লেনদেনের সমস্যায় চা, চপ, সিগারেট, আনাজ ইত্যাদি প্রায় ২৫০টি ছোট ব্যবসা বন্ধের মুখে। আনাজের পাইকারি বাজারেও চাষিরা ফসল দিতে এলে ৫০০ টাকার মধ্যে তাঁকে ২০০ টাকা খুচরোয় দিলে নিচ্ছেন না। ফলে, সেই বাজারও বিধ্বস্ত। ব্যাঙ্কও খুচরো নিচ্ছে না।”
ব্যাঙ্ক যাতে খুচরো নেয়, সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতেই তাঁদের এ দিনের অবরোধ বলে জানান অমরবাবু। একই সঙ্গে বাজার কমিটির হুঁশিয়ারি, এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা না-মিটলে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
সোদপুর বাজারে দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রয়েছে। দুই ব্যাঙ্কের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, খুচরো নেওয়ার মতো পরিকাঠামো তাঁদের নেই। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার পূর্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কর্মী কম। খুচরো গুনে নেওয়ার মতো লোক নেই। এই পরিকাঠামোয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ না-দিলে কিছু করার নেই।”