ফাইল চিত্র।
দীপাবলিতেও খুলছে না চন্দননগরের গোন্দলপাড়া এবং শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া চটকল। সংশ্লিষ্ট মহলের খবর এমনটাই। ফলে উৎসবের মরসুমে হাসি নেই একই মালিকানাধীন এই দুই চটকলের প্রায় দশ হাজার কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজনের মুখে।
হুগলি শিল্পাঞ্চলের এই দু’টি চটকল বন্ধ গত পাঁচ মাস ধরে। রাজ্যের শ্রম দফতরের মধ্যস্থতায় একাধিক বৈঠক হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। কলকাতায় শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের দফতরে সোমবার ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। মন্ত্রী ছাড়াও হাজির ছিলেন দফতরের আধিকারিকরা, চটকলদু’টির মালিক সঞ্জয় কাজোরিয়া এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, মালিকপক্ষের তরফের দাবি, আর্থিক সঙ্কটের কারণে কাঁচা পাট কেনা যাচ্ছে না। তাই এই পরিস্থিতি। এ ব্যাপারে সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। মঙ্গলবার জুট কর্পোরেশন এবং পাট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শ্রমমন্ত্রী মলয়বাবু আলোচনা বৈঠক করেন। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে জট কাটেনি। এই বৈঠকেও সঞ্জয়বাবু উপস্থিত ছিলেন। আগামী সপ্তাহে বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা করা হবে। শ্রম দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘যা পরিস্থিতি, তাতে দীপাবলির আগে হয়তো মিল খুলবে না। তবে আমাদের দফতর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’’
এসইউসি প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি-র রাজ্য সম্পাদক দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শ্রমিকদের জন্য আশাব্যঞ্জক কিছু হয়নি।’’ তাঁর অভিযোগ, চটকলের পরিস্থিতি খারাপ হলে প্লাস্টিক বা সিন্থেটিক প্যাকেট বা বস্তার রমরমা বাড়বে। তাই পরিবেশ-বান্ধব চটের বস্তা তৈরির কল যাতে বন্ধ না হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তা দেখা উচিত।
ইন্ডিয়া চটকলের এক শ্রমিক বলেন, ‘‘আইএনটিটিইউসি, সিটুর নেতা সংবাদমাধ্যমে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মাঝেমধ্যে দু’-এক দিন আওয়াজ তুলে তাঁরা চুপ করে বসে যান। শ্রমিকদের অবস্থা কেউ ভাবছেন না।’’
গোন্দলপাড়া চটকলের মেকানিক্যাল বিভাগের এক শ্রমিক বলেন, ‘‘ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি না, বুঝতে পারছি না। আমাদের যে সংসারই চলছে না।’’