নব কলেবরে চালু বৈঁচি ফাঁড়ি

এ দিন বিকেলে এক অনুষ্ঠানে ওই ফাঁড়ির কাজ চালু করেন পান্ডুয় থানার ওসি সুব্রত দাস। ফাঁড়ির পুরনো ভবনেই নীল-সাদা রঙের পোঁচ পড়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, অফিসার ও কনস্টেবল নিয়ে ছ’জন পুলিশকর্মী নিয়ে ফাঁড়িটি চলবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪১
Share:

শুরু: উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র

পুলিশকর্মী বাড়ন্ত। তাই সাত বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়েছিল হুগলির পান্ডুয়ার বৈঁচি পুলিশ ফাঁড়ি। সোমবার নব কলেবরে ওই ফাঁড়ি পুনরায় চালু হল। হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘ওই ফাঁড়িটি চালু হওয়ায় স্থানীয় মানুষকে আরও ভাল ভাবে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’’

Advertisement

এ দিন বিকেলে এক অনুষ্ঠানে ওই ফাঁড়ির কাজ চালু করেন পান্ডুয় থানার ওসি সুব্রত দাস। ফাঁড়ির পুরনো ভবনেই নীল-সাদা রঙের পোঁচ পড়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, অফিসার ও কনস্টেবল নিয়ে ছ’জন পুলিশকর্মী নিয়ে ফাঁড়িটি চলবে। সিভিক ভলান্টিয়ারও মোতায়েন করা হবে। পুলিশকর্তাদের দাবি, ফাঁড়িটি চালু হওয়ায় বৈঁচি এবং সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি চালানোর কাজ সহজ হবে। মাস খানেক পরে এখানে জেনারেল ডায়েরি করার ব্যবস্থাও করা হবে।

১৯৯৭ সালের ৭ মে বৈঁচি ফাঁড়ির উদ্বোধন করেন জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার বাণীব্রত বসু। পুলিশকর্মীর সংখ্যার অভবের জন্য ২০১২ সালের মার্চ মাস থেকে এটি বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দু’বার রেল লাইন পেরিয়ে পান্ডুয়া থানায় যেতে হয়। দুর্ঘটনা বা কোনও ঘটনা ঘটলে থানা থেকে গাড়ি আসতে অনেকটা সময় লেগে যায়। রেলগেট পড়লে অতিরিক্ত সময় লাগে। ফাঁড়ি চালু হওয়ায় এখানকার পুলিশকর্মীরাই পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন। স্থানীয় নুনিয়াডাঙ্গা, ভোপুর, বৈঁচিগ্রাম, সিমলাগড়, বেরেলা, কোচমালি, চারাবাগান, হালদারদীঘি, হাতনি প্রভৃতি এলাকার নিরাপত্তা দেওয়া সহজ হবে বলে পুলিশের একাংশের বক্তব্য।

Advertisement

পর্যাপ্ত পুলিশকর্মীর অভাবে গত কয়েক বছরে জেলার অনেক ফাঁড়িই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের হাতে যত সংখ্যক পুলিশকর্মী রয়েছে, তাঁদের দিয়েই তো সব কাজ সামলাতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সব ব্যবস্থাই করার চেষ্টা করা হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement