—ফাইল চিত্র।
গ্রামীণ বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রাজ্যে ১০ হাজার ই-রিকশা নামাতে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। যৌথভাবে প্রকল্পটির উদ্যোক্তা হল রাজ্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী সংক্রান্ত দফতর এবং পরিবহণ দফতর। তবে এটি রূপায়ণ করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী সংক্রান্ত দফতরের অধীনস্থ সংস্থা স্বরোজগার যোজনা নিগম।
রাজ্য জুড়ে ‘বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্প’, ‘গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল প্রকল্প’ প্রভৃতি খাতে পঞ্চায়েত এলাকায় হাজার হাজার কিলোমিটার পাকা রাস্তা তৈরি হয়েছে। এইসব রাস্তায় ব্যাটারি চালিত ই রিকশা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন নিগমের চেয়ারম্যান পুলক রায়। তিনি বলেন, ‘‘নতুন পাকা রাস্তা তৈরি হওয়ার ফলে পঞ্চায়েত এলাকায় বহু মানুষের ই-রিকশা চালিয়ে জীবিকা অর্জনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই প্রকল্পটি চালু করা হচ্ছে।’’ সম্প্রতি স্বনির্ভর গোষ্ঠী সংক্রান্ত দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবং পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এ বিষয়ে বৈঠক করেন। তারপরেই এটি রূপায়ণ করতে নিগমকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়।
ঠিক হয়েছে এই প্রকল্পের সুযোগ পাবেন ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত যুবক যুবতীরা। তাঁরা যদি ই-রিকশা চালাতে আগ্রহী হন তাঁদের পরিবহণ দফতর লাইসেন্স দেবে। ই-রিকশার মোট দামের মাত্র ৫ শতাংশ টাকা তাঁদের দিতে হবে। ৬৫ শতাংশ ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। বাকি ৩০ শতাংশ টাকা সরকার ভর্তূকি দেবে।
পুলকবাবু বলেন, ‘‘লাইসেন্স পাওয়ার শর্ত হল রাজ্য সড়ক, জাতীয় সড়ক এবং পুরসভা এলাকায় ই-রিকশা চালানো যাবে না। শুধুমাত্র পঞ্চায়েত এলাকার গ্রামীণ সড়কগুলিতে ই রিকশা চলাচল করতে পারবে।’’ জেলাশাসকের কাছে আগ্রহী যুবক-যুবতীরা অনলাইনে আবেদন করলে তাঁদের আবেদনপত্রগুলি সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পুলকবাবু বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায়ে ১০ হাজার ই রিকশা চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রকল্পটি সফল হলে লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হবে।’’