সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণ, নালিশ

খানাকুলের পলাশপাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা জানান, মুখে কালো কাপড় বাঁধা জনা ১০ সশস্ত্র যুবক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হরিপদ মানকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়। তারপর মারতে মারতে তাঁকে গাড়িতে তোলা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্কুলের পাশেই পুলিশ ক্যাম্প। অথচ শনিবার ভরদুপুরে ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী তথা পঞ্চায়েত নির্বাচনে খানাকুল জেলা পরিষদের সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল।

Advertisement

খানাকুলের পলাশপাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা জানান, মুখে কালো কাপড় বাঁধা জনা ১০ সশস্ত্র যুবক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হরিপদ মানকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়। তারপর মারতে মারতে তাঁকে গাড়িতে তোলা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপা দত্ত ওই যুবকদের বাধা দিতে এলে তাঁর কানে পিস্তল ঠেকানো হয় বলে অভিযোগ। তবে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হরিপদবাবুকে সুলুট সেতু থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।

শনিবারের এই ঘটনার পর পুলিশে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন হরিপদবাবুর স্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, হরিপদবাবু সিপিএম প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় দুষ্কৃতীরা তাঁকে অপহরণ করেছে। তাঁর অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষও অপরহণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। হুগলি (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “অপহরণের অভিযোগ পেয়ে সুলুট থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

Advertisement

স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পলাশপাইয়ের ওই স্কুলের পাশেই রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, পঞ্চায়েত ভবন, ব্যাঙ্ক। নজরদারির জন্য রয়েছে স্কুল লাগোয়া পুলিশ ক্যাম্পও। হরিপদবাবুকে অপহরণের অভিযোগের পর নিরাপত্তার দাবিতে স্থানীয় মোস্তাফাপুর, পলাশপাই গ্রামের মানুষরা এসে স্কুলে বিক্ষোভ দেখান। ঘেরাও করে রাখা হয় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা-সহ স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরিন্দম শীকে। নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন স্কুলের শিক্ষক-কর্মীরাও।

তবে অভিযোগ মানতে নারাজ খানাকুলের তৃণমূল বিধায়ক তৃণমূলের ইকবাল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় তৃণমূল কোনওভাবে যুক্ত নয়।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, “সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে। মাঝে কিছুটা চুপ থাকার পর ফের তৃণমূল সন্ত্রাস শুরু করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন