Panchayat Poll 2018

বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা

রবিবার রাতে বাগনানের বেনাপুর শিবতলার ৩০টি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়,  মোটরবাইক পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী মহিলাদের শ্লীলতাহানি এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রামে বোমাবাজির অভিযোগও ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগনান শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৮ ০১:৪৩
Share:

নজির: ছড়িয়ে রয়েছে টালির টুকরো। সোমবার শিবতলায়। নিজস্ব চিত্র

নির্বাচনের আর কয়েকদিন মাত্র বাকি। তার আগে পঞ্চায়েত সমিতির এক প্রার্থী-সহ বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে বাগনানের বেনাপুর শিবতলার ৩০টি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়, মোটরবাইক পুকুরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকী মহিলাদের শ্লীলতাহানি এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রামে বোমাবাজির অভিযোগও ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, বহুবার থানায় ফোন করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি। আর পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে অনেক পরে।

Advertisement

হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গ্রামে পুলিশি টহল চলছে। বাগনান থানার বিরুদ্ধে দেরি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর অভিযোগ নিয়ে জেলা পুলিশের কর্তাদের বক্তব্য, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেনাপুর শিবতলা এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন চন্দন প্রামাণিক। অভিযোগ, প্রথমে তাঁর বাড়ি গিয়ে হামলা চালায়। তাঁর পরিবারের অনেক মহিলাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। মোটরবাইকে চেপে কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক গ্রামে বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ আসার খবর পেয়ে তারা চম্পট দেয়।

Advertisement

বাগনান-২ পঞ্চায়েত সমিতির অধিকাংশ আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে না পারায় এখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। সমিতির মোট আসন ২১টি। ১২টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। যে ৯টি আসনে ভোট হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে বেনাপুরের ১৭ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনটি।

বিজেপি এই হামলার দায় চাপিয়েছে সরাসরি বাগনানের তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেনের উপরে। বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, ‘‘সমিতিতে আমাদের দলের প্রার্থী চন্দনের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে। রবিবার ওই এলাকায় বাগনানের বিধায়ক একটি সভা করেন। সেখান থেকে তিনি উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন। তারপরেই এই হামলা হয়।’’

অভিযোগ অস্বীকার করে অরুণাভবাবুর দাবি, ‘‘অনুপম মল্লিক বিজেপির এক শ্রেণীর কর্মীকে দেদার মদ খাওয়ার টাকা দিচ্ছেন। মত্ত অবস্থায় তারা বিজেপি প্রার্থী চন্দন প্রামাণিকের নেতৃত্বে গ্রামে প্ররোচনা ছড়াচ্ছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন