প্রতীকী ছবি।
সর্বদলীয় বৈঠকে ঢুকে ফাঁকতালে কখন যে নিজের মনোনয়ন জমা দিয়ে এসেছিলেন কেউ জানতে পারেননি। বুধবার মনোনয়ন পরীক্ষার পর জানা গেল, আরামবাগ মহকুমার ৬৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯২৪টি আসনের মধ্যে তিনিই একমাত্র বিজেপি প্রার্থী। আর তাতেই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন পুরশুড়ার চিলাডাঙ্গি গ্রামের সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি আবার পুরশুড়ার বিজেপি মণ্ডল সভাপতিও বটে।
মনোনয়ন জমা শুরু হওয়ার দিন থেকে আরামবাগ, পুরশুড়ায় তৃণমূল-বিজেপির হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে বহুবার। আরামবাগে বিরোধী প্রার্থীদের মার ও তাঁদের মুখে কালি লাগানোর অভিযোগে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। বিরোধীরা প্রথম থেকে অভিযোগ জানিয়েছে, তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিয়েছে শাসকদল। আর সেখানেই বাজিমাত সুব্রতর।
ইতিমধ্যে চিলাডাঙ্গি পঞ্চায়েতের ১৯টি আসনের মধ্যে ১২টিতেই তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড দখল করে নিয়েছে। পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর আসনটিতে বিজেপির সুব্রত চক্রবর্তী ছাড়াও তৃণমূলের আরও তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। সুব্রত জিতলে বিরোধী সদস্য রাখারও দৃষ্টান্ত থাকবে বলে বিজেপি নেতাদের একাংশের আশা।
বিজেপি শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ায় কিছুটা খুশি তৃণমূলও। পুরশুড়া তৃণমূল ব্লক সভাপতি জয়দেব জানা বলেন, “আমরা বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দিচ্ছি না, এই অভিযোগ আর কেউ করতে পারবেন না।” তৃণমূল দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি প্রার্থীর নিরাপত্তা যাতে কোনভাবে বিঘ্নিত না হয় তা নিয়ে ব্লক নেতারা সমস্ত স্তরে সতর্ক করে দিয়েছেন।
এ সব নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাতে নারাজ সুব্রত। তিনি বলেন, ‘‘শাসকদলের প্রতিরোধের মাঝে মনোনয়ন দেওয়াটাই একটা বড় লড়াই ছিল। সেই লড়াই জিতে গিয়েছি। বাকি লড়াইয়ে নিশ্চয়ই মানুষকে