বৈদ্যবাটিতে ফের চালু জৈব সার তৈরির প্রকল্প

মাস ছ’য়েক পরে ফের আবর্জনা থেকে জৈব সার তৈরির কাজ শুরু হল হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভায়। পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে এই প্রকল্পের কাজ চালানো নিয়ে গত নভেম্বর মাসে চুক্তি হয়েছে। চুক্তিটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য। তার পরেই কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বৈদ্যবাটি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:১০
Share:

মাস ছ’য়েক পরে ফের আবর্জনা থেকে জৈব সার তৈরির কাজ শুরু হল হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভায়।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে এই প্রকল্পের কাজ চালানো নিয়ে গত নভেম্বর মাসে চুক্তি হয়েছে। চুক্তিটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য। তার পরেই কাজ শুরু হয়েছে। পুরপ্রধান অরিন্দম গুঁইন জানান, প্রতিদিন আবর্জনা সংগ্রহ করে ওই ‘কমপোসড প্ল্যান্টে’ পাঠাবেন পুরসভার সাফাইকর্মীরা। সংস্থাটি তা থেকে সার তৈরি করে বিক্রি করবে। ইতিমধ্যে জঞ্জাল অপসারণ এবং তা থেকে সার তৈরি ও বিক্রির ব্যবস্থা করে নতুন দিশা দেখানোয় পুরস্কার পেয়েছে উত্তরপাড়া পুরসভা।

উত্তরপাড়া থেকে চাঁপদানি পর্যন্ত গঙ্গার ধার লাগোয়া হুগলির ছ’টি পুরসভা মিলিয়ে ‘কঠিন বর্জ্য প্রতিস্থাপন’ প্রকল্পের উদ্যোগ বাম আমলের। জাপানের একটি ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে কয়েক বছর আগে দেশের মধ্যে মডেল এই প্রকল্প গড়ে তোলে কেএমডিএ। পচনশীল পদার্থ থেকে সার তৈরির জন্য প্রতিটি পুরসভায় আলাদা ইউনিট করা হয়। বৈদ্যবাটির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রেঞ্চিং গ্রাউন্ডে সা়ড়ে ৪ একর জমিতে পুরসভার নিজস্ব ইউনিটটি গড়া হয়। ইউনিটটি পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয় ২০১৩ সালে। এক বছর আগে কেএমডিএ বৈদ্যবাটি পুরসভাকে প্রকল্পটি হস্তান্তর করে। এর পরে ওই প্রকল্পে সার তৈরি ও বিক্রির জন্য গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত লিলুয়ার একটি সংস্থার সঙ্গে পুরসভার চুক্তি হয়। কিন্তু সংস্থাটি ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় আবর্জনা জমে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা এ নিয়ে পুরসভাকে চিঠি দেন।

Advertisement

এর মধ্যেই মাস ছ’য়েক আগে সংস্থাটি ফিরে যাওয়ায় প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পুরসভার এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রকল্পটি যাতে ঠিকঠাক চলে, সেটাই দেখতে হবে।’’-প্রকাশ পাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন