হাসপাতালে অন্তরা ভট্টাচার্য। সোমবার। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি তথা বিজেপি নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার ডেবরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেছে তৃণমূল।
কুসুমদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকজন প্রার্থী এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন ব্লক অফিসে। বিজেপির অভিযোগ, জামনার কাছে তাঁদের বাধা দেন শাসক দলের কর্মী, সমর্থকেরা। এর পরে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে প্রার্থীদের ডেবরা জেলা কার্যালয়ে ডেকে পাঠান বিজেপি নেতৃত্ব। সেখান থেকেই চারটি গাড়িতে প্রায় ৩০ জন প্রার্থীকে নিয়ে পিংলার উদ্দেশে রওনা দেন বিজেপির জেলা নেতারা। প্রথম গাড়িতে ছিলেন সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অন্তরা-সহ অন্য নেতারা। অভিযোগ, মুণ্ডুমারি পেরিয়ে গাড়ি পিংলা ব্লক অফিসের দিকে যাওয়ার পথে মণ্ডলবাড়ে গাড়ি আটকায় কয়েকজন। অন্তরাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
বিজেপির কর্মীরাই জখম অন্তরাকে উদ্ধার করে ডেবরা হাসপাতালে নিয়ে যান। অন্তরা বলেন, “চারটি গাড়িতে পিংলা ব্লক অফিসে যাওয়ার আগেই বিডিওকে ফোন করেছিলাম। বিডিও জানিয়েছিলেন পুলিশের ওসিকে জানাচ্ছি। কিন্তু মুণ্ডুমারি পেরোনোর পরে লাঠি-সোটা দিয়ে দু’দিক থেকে ঘিরে মারধর করা হয়। গাড়ি ভাঙচুর হয়। এমন পরিস্থিতিতে কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি।” যদিও তৃণমূলের পিংলা ব্লক সভাপতি শেখ সবরাতি বলেন, “দুই কর্মী পিংলা ব্লক অফিসে আসছিল। সেই সময় বিজেপির চারটি গাড়ি ওঁদের ঘিরে মারধর করে। আমাদের কেউ মারধর করেনি। কিন্তু নাটক করে বিজেপির লোকেরা হাসপাতালে গিয়েছিল।”
বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রতন দত্ত জানিয়েছেন, অন্তরা-সহ ছ’জন আহত হয়েছেন। অন্তরাকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা ডেবরা হাসপাতালে ভর্তি। বিজেপির পিংলা মণ্ডলের সহ-সভাপতি গণেশ দুয়ারি বলেন, ‘‘আমাদের তো দু’তিন কোথায় কী অবস্থায় রয়েছেন খোঁজ পাচ্ছি না।”
কী বলছে প্রশাসন? পিংলা ব্লক রিটার্নিং অফিসার তথা বিডিও শঙ্খ ঘটক বলেন, “আমার অফিস চত্বরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বাইরে যেখানে যা খবর এসেছে পুলিশকে দেখতে বলেছি।” খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশীর কথায়, “অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।”