পরিদর্শনে: আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথা বিজেপি নেতাদের। নিজস্ব চিত্র
দলের বিস্তারক যোজনার কাজে বেরিয়ে ধনেখালিতে প্রহৃত দলীয় কর্মীদের দেখতে গেলেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। এ দিন সকালে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। এর পর ওই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারেট পীযুষ পাণ্ডের কাছেও যান। কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনেখালি তাদের এলাকার মধ্যে না হলেও তারা বিষয়টির উপরে নজর রাখবেন। প্রতিনিধিদলটি এ দিন ধনেখালির দশঘরায় আক্রান্ত দলীয় নেতৃত্বের বাড়িতে যান।
রবিবার ধনেখালির দশঘরার ভাঙাহুদা গ্রামে বিজেপি কর্মীদের রাস্তায় ফেলে রড, বাঁশ মারধরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
বিজেপি সমর্থক এক বৃদ্ধাকে মারধর ও তাঁর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রহাটি ২ পঞ্চায়েতের অমলনগর গ্রামে। পুলিশে অভিযোগ করেছেন ওই বৃদ্ধা।
বছর কয়েক আগে মুনি মান্ডি নামে ওই বৃদ্ধার স্বামী মারা যান। তার পর থেকে ওই বৃদ্ধা টালির চালের বাড়িতে একাই থাকতেন। রবিবার রাতে ওই এলাকার কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মুনিদেবীর দাবি, ‘‘বাড়িতে বৃষ্টির জল ঢুকছিল। তাই মিস্ত্রি লাগিয়েছি। রবিবার রাতে এলাকার তৃণমূলের লোকজন এসে আমায় বাড়ি ছেড়ে দিতে বলে। রাজি না হওয়ায় মারধর করে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।’’
বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভাপতি স্বপন পালের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন ওই বৃদ্ধার থেকে টাকা চেয়েছিল। বৃদ্ধা টাকা দিতে না চাওয়ায় তাঁর উপরে হামলা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তৃণমূল পরিচালিত মগরার চন্দ্রহাটি ২ পঞ্চায়েতের প্রধান বিপ্লব সরকার বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখব।’’