হয়রান পরীক্ষার্থীরা

গোঘাট পর্যন্ত ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিতে অবরোধ

ঘটা করে আরামবাগ থেকে গোঘাট পর্যন্ত রেল চালু হতে না হতেই শুরু হল অশান্তি। ট্রেনের সংখ্যা না বাড়িয়ে আরামবাগ থেকে গোঘাট পর্যন্ত রেল চালু করায় বুধবার সকালে তারকেশ্বর-শেওড়াফুলি শাখার দু’টি স্টেশনে অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তারকেশ্বর শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৬ ০৭:৫৭
Share:

তারকেশ্বর স্টেশনে নিত্যযাত্রীদের অবরোধ।—নিজস্ব চিত্র।

ঘটা করে আরামবাগ থেকে গোঘাট পর্যন্ত রেল চালু হতে না হতেই শুরু হল অশান্তি।

Advertisement

ট্রেনের সংখ্যা না বাড়িয়ে আরামবাগ থেকে গোঘাট পর্যন্ত রেল চালু করায় বুধবার সকালে তারকেশ্বর-শেওড়াফুলি শাখার দু’টি স্টেশনে অবরোধ করলেন নিত্যযাত্রীরা। তারকেশ্বরে সকাল ৮টা থেকে ৯টা ও কৈকালায় সাড়ে ৮টা থেকে সওয়া দশটা পর্যন্ত অবরোধ চলে। অবরোধের জেরে ওই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ দিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজে পরীক্ষা ছিল। আচমকা অবরোধের জেরে বহু পরীক্ষার্থী সঠিক সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি।

নিত্যযাত্রী সংগঠনের সম্পাদক হরদাস চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘আরামবাগ বা গোঘাট থেকে ট্রেন ছাড়লে ভিড়ের চাপে তারকেশ্বর, হরিপাল, নালিকুল, সিঙ্গুর থেকে ট্রেনে ওঠা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। ট্রেনের সংখ্যা না বাড়ালে এই সমস্যা আরও বাড়বে। তাই এই শাখায় সকালে ডাউন ট্রেন এবং সন্ধ্যায় আপ ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হোক। প্রয়োজনে গোঘাট থেকে শেওড়াফুলি পর্যন্ত ট্রেন চালানো যেতে পারে।’’

Advertisement

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘ওই শাখায় অফিস টাইমে নিত্যযাত্রীদের সমস্যা সমাধানের জন্য কী করা যায়, তা রেল বিবেচনা করছে।’’

গত ৯ জুন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু আরামবাগ থেকে গোঘাট পর্যন্ত রেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ১১ তারিখ থেকে ওই শাখায় ট্রেনও চলতে শুরু করে। আপাতত একটি ডাউন এবং দু’টি আপ ট্রেন চালানো হচ্ছে। সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে ডাউন হাওড়া লোকাল গোঘাট স্টেশন ছাড়ে। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে আপ গোঘাট লোকাল। ট্রেন‌টি গোঘাট স্টেশনে ঢোকে রাত সওয়া ৯টায়। ফের ৯টা ২৫ মিনিটে সেটি হাওড়ার উদ্দেশে ছাড়ে। তারকেশ্বর, হরিপাল, কৈকালা, নালিকুল, সিঙ্গুরের নিত্যযাত্রীদের আপত্তি মূলত সকালের ডাউ‌ন ট্রেন নিয়ে। এত দিন ওই ট্রেনটিই ৭টা ৪৫ মিনিটে আরামবাগ স্টেশন থেকে ছাড়ত। এখন সেটি গোঘাট থেকে ছাড়ছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এমনিতেই ট্রেনটিতে প্রচণ্ড ভিড় হয়। এখন গোঘাট থেকে ছাড়ার ফলে ভিড়় মাত্রা ছাড়িয়েছে। তারকেশ্বর বা পরবর্তী স্টেশনগুলি থেকে ট্রেনে ওঠা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু যাত্রীকেই জীবন হাতে নিয়ে বাদুড়ঝোলা হয়ে যেতে হচ্ছে।

এ দিন সকালে গোঘাট থেকে ছাড়া ডাউন ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুক্ষণ পরে তারকেশ্বরে ঢোকে। তাতেই নিত্যযাত্রীদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে। শুরু হয় অবরোধ। স্টেশনে দাঁড়ানো একটি ট্রেনকে ডাউন ট্রেন হিসেবে চালানোর দাবি তোলা হয়। রেলের তরফে জানানো হয়, আরামবাগের দৌলতপুরে নিকাশি নালার দাবিতে অবরোধ হওয়ায় তারকেশ্বরে ট্রেন ঢুকতে দেরি হয়। এর পরিবর্তে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো সম্ভব নয়।

এ দিকে, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ অবরোধ শুরু হয় কৈকালায়। ফলে বিভিন্ন স্টেশনে আপ এবং ডাউন ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। ট্রেন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন কলেজের পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়েন। অনেকেই পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন। সাড়ে ১০টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। যদিও ট্রে‌ন চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও কিছুটা সময় গড়িয়ে যায়।

ইভটিজিং-এর নালিশ। ডোমজুড়: ইভটিজিং করার অভিযোগে এক যুবককে মারধর করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার ডোমজুড়ের মাকড়দহ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে অভিযুক্ত হাসপাতালে ভর্তি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন