টুকরো খবর

পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশুকল্যাণ সংক্রান্ত স্থায়ী সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে এসে সভাপতির কাছে অপমানিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন স্থায়ী সমিতির এক মহিলা সদস্য। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে পঞ্চায়েত সমিতিতে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৩১
Share:

মহিলা সদস্যকে অপমান, অভিযুক্ত সমিতির সভাপতি
নিজস্ব সংবাদদাতা • জগৎবল্লভপুর

Advertisement

পঞ্চায়েত সমিতির নারী ও শিশুকল্যাণ সংক্রান্ত স্থায়ী সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে এসে সভাপতির কাছে অপমানিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করলেন স্থায়ী সমিতির এক মহিলা সদস্য। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে পঞ্চায়েত সমিতিতে। নমিতা ঝাঁঝ নামে ওই মহিলার অভিযোগ, “বুধবার স্থায়ী সমিতির বৈঠক ছিল। সমিতির সভাপতি মহম্মদ ইব্রাহিম আমাকে বৈঠকে যোগ দিতে বারণ করেছিলেন। তবুও স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সোমা দাস এবং আমি বৈঠকে আসি। এর পরই কেন এসেছি সে কথা বলে সমিতির সভাপতি আমাকে এবং কর্মাধ্যক্ষকে অপমান করেন। হুমকি দেন। বিষয়টি থানায় জানিয়েছি।” সোমাদেবী বলেন, “দীর্ঘদিন সমিতির সভাপতি আমাকে স্থায়ী সমিতির বৈঠক ডাকতে দেননি। তাঁর বারণ উপেক্ষা করেই আমি বৈঠক ডেকেছিলাম। সে জন্যই তিনি রেগে যান। আমাকে এবং নমিতাদেবীকে অপমান করেন।” সমিতির সভাপতি মহম্মদ ইব্রাহিম অবশ্য বলেন, “সব বাজে কথা। এই ব্লকে আমি প্রচূর উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। তা দেখে হিংসায় জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক আমাকে হেনস্থা করছেন। বিধায়কের চত্রান্তেই ওই দুই মহিলা মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।” বিধায়ক আবুল কাশেম মোল্লা বলেন, “হাস্যকর ব্যাপার। এদিন আমি জগৎবল্লভপুরে ছিলামই না।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

সভা ভন্ডুল, অভিযুক্ত শাসক দল
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ

মালদহের চাঁচলে তাদের সভা করার অনুমতি দেয়নি জেলা পুলিশ। বুধবার, হুগলির আরামবাগে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের সভা ভেস্তে দেওয়ার ‘দায়’ কাঁধে তুলে নিল সাসক দল। অভিযোগ, মারধর করে রীতিমতো ঘাড়ধাক্কা দিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বের করে দেওয়া হয়। আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড ভবনের চার তলায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের সংগঠনের তরফে এ দিন সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন তৃণমূলের জনা কুড়ি নেতা-কর্মী। তারপর মারধরের পাশপাশি সংগঠনের হুগলি জেলা সভাপতি সুব্রত হাজরাকে আটকেও রাখা হয়। এ দিনের বৈঠকে এসেছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় পোড়িয়া। তাঁর অভিযোগ, “ওরা এসে বৈঠকের অনুমতিপত্র দেখতে চায়। আমরা বলি, প্রয়োজনে পুলিশ দেখাব, আপনাদের কেন? তারপরেই যুব তৃণমূল নেতা আলমগীর চৌধুরীর নেতৃত্বে শুরু হল মারধর।” তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত অবশ্য বলেন, “এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”

আদালত চত্বর থেকে পালাল বন্দি
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া

আদালত চত্বরে হেফাজত থেকে পালাল খুনের মামলার অভিযুক্ত। নাম বাপন মণ্ডল। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “পলাতক ওই দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” বুধবার চুঁচুড়া আদালতে এই ঘটনা ঘটে। আদালত সূত্রের খবর, বাপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে যে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তার সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছিল। সাক্ষীরা আদালতে তা জানান। এরপর ওই মামলার সব অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এদিন হেফাজতে নেওয়া ছয় অভিযুক্তের মধ্যে অন্যতম বাপন পালিয়ে যায়। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে হুগলির মগরা থানার মনসা তলায় এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। কমল দাস নামে ওই ব্যক্তি পরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে মারা যান। মগরা থানার ওসি সুখময় চক্রবর্তী তদন্তে নেমে জানতে পারেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই বাপন মণ্ডলসহ অন্য পাঁচজন ওই খুনের ঘটনায় যুক্ত। এরপর পুলিশ তদন্তে নেমে ওই ঘটনায় যুক্ত ছয়জনকেই গ্রেফতার করে।

বাসভাড়া নিয়ে গোলমাল

কিছু নিত্যযাত্রী বর্ধিত ভাড়া দিতে অস্বীকার করায় শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া ৩১ নম্বর রুটের একটি অংশে বাস চালানো বন্ধ রেখেছিলেন মালিকরা। প্রতিবাদে ওই নিত্যযাত্রীরা অন্য জায়গায় গিয়ে বাস আটকে দিলেন। মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনার জেরে হুগলির শিয়াখালায় যানজট হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। শেষে এলাকার তৃণমূল নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “কলকাতার সঙ্গে জেলার বাসভাড়ার মিল নেই। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বাসভাড়া সবাইকেই দিতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন