গঙ্গা দূষণ ঠেকাতে উদ্যোগ চন্দননগরে

গঙ্গা দূষণকে বাগে আনতে কেন্দ্রের উদ্যোগ দীর্ঘদিনের পুরনো। এক সময়ে প্রকল্পের নাম ছিল ‘গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান’।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৯ ০১:১৫
Share:

ছবিটা-বদলাবে: এখন এ ভাবেই গঙ্গায় সরাসরি মিশে যায় নালার আবর্জনা। ছবি: তাপস ঘোষ

গঙ্গা দূষণ রুখতে কেন্দ্র সরকার ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প চালু করলেও তাতে কাজ কতটা হয়েছে, সে প্রশ্ন বারবার উঠছে। এখনও বহু জায়গা থেকেই গঙ্গা দূষণের ছবি সামনে আসছে। চন্দননগরে অবশ্য সেই দূষণ ঠেকাতে উদ্যোগী হল পুরসভা। গঙ্গামুখী নিকাশি-নালার জল দূষণমুক্ত করতে ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, আপাতত শহরের ন’টি গঙ্গামুখী নালাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ওই সব নালা থেকে কঠিন বর্জ্য (প্লাস্টিক, থার্মোকল, কাচ-প্লাস্টিকের বোতল ইত্যাদি) যাতে গঙ্গায় না-পড়ে সে জন্য প্রতিটির মুখ শক্তপোক্ত জালে ঘেরা হচ্ছে। এ জন্য প্রায় আট লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তরল বর্জ্যের ক্ষেত্রে প্রতিটি নালার মুখে ছোট ছোট ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ তৈরি করা হবে। সেখানে তরল বর্জ্য শোধন এবং দূষণমুক্ত করে গঙ্গায় ফেলা হবে। পরে অন্য নালাগুলির ক্ষেত্রেও একই ভাবে কাজ হবে।

চন্দননগরের পুর কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘প্রতিটি পুরসভা গঙ্গায় নোংরা জল ফেলার আগে, যদি নিজস্ব ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মধ্য দিয়ে ফেলে, তা হলেই দূষণ অনেকটা কমানো যায়। আমরা চন্দননগরে সেই কাজ শুরু করেছি। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে যতটা সম্ভব জল করেই আমরা গঙ্গায় ফেলতে চাইছি।’’

Advertisement

গঙ্গা দূষণকে বাগে আনতে কেন্দ্রের উদ্যোগ দীর্ঘদিনের পুরনো। এক সময়ে প্রকল্পের নাম ছিল ‘গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান’। বর্তমান সরকার চালু করে ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প। উদ্দেশ্য একই— গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করা। কিন্তু তার পরেও এ রাজ্যের গঙ্গাপাড়ের পুরসভাগুলির নিকাশি নালার জল সরাসরি গঙ্গায় পড়া আটকানো যায়নি। গঙ্গা দূষণ রুখতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দিষ্ট ‘গাইড লাইন’ করে দিয়েছিল। দূষণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টের নির্দেশে স্পেশ্যাল অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছিল। তবু পরিস্থিতি বদলায়নি।

চন্দননগর পুরসভা অবশ্য এ বার ছবিটা বদলাতে নেমেছে। পুরসভার দাবি, প্রতিদিন দু’বার করে নালার মুখের জাল পরিষ্কার করে কঠিন বর্জ্য পুরকর্মীরা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। পরে পুরসভার নির্দিষ্ট জায়গায় তা ফেলা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যেই তরল বর্জ্য শোধনের কাজও শুরু হবে। এ জন্য আলাদা বরাদ্দ করা হবে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দেরিতে হলেও চন্দননগর পুরসভার উদ্যোগে অবশ্য সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরসভার দেরিতে ঘুম ভেঙেছে ঠিকই। তবে, উদ্যোগ ভাল। কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন