কমিশনারেটে ৫ নয়া এডিসিপি, নেই অফিস

প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পাঁচ জন নতুন অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার (এডিসিপি) নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হাওড়া জিআরপি-র ডিএসপি পদে থাকা দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়। বাকি চার জন হলেন শেখ মহম্মদ আজিম, জাঙ্গিয়ান জিম্বা, ইসরাত জাহান, রমেন বারুই। শ্রীরামপুরের প্রাক্তন এসডিপিও কামনাশিস সেন আগেই এডিসিপি-১ এবং এডিসিপি-২, দু’টি দায়িত্ব পেয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ১৫:০০
Share:

—প্রতীকী ছবি

সদ্যগঠিত চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্ম বেড়েই চলেছে। তাতে লাগাম কবে পরবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কমিশনারেটের কর্তারা অবশ্য সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিয়েছেন, দুষ্কৃতীদের ধরতে তৎপরতা তুঙ্গে। কমিশনারেটের পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হচ্ছে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে পাঁচ জন নতুন অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ কমিশনার (এডিসিপি) নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হাওড়া জিআরপি-র ডিএসপি পদে থাকা দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায়। বাকি চার জন হলেন শেখ মহম্মদ আজিম, জাঙ্গিয়ান জিম্বা, ইসরাত জাহান, রমেন বারুই। শ্রীরামপুরের প্রাক্তন এসডিপিও কামনাশিস সেন আগেই এডিসিপি-১ এবং এডিসিপি-২, দু’টি দায়িত্ব পেয়েছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (শিল্পাঞ্চল) দায়িত্বে থাকা অতুল ভি-কে কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিডি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই আরও এক সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং তিন জন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিসিপি) নিয়োগ করা হবে।

প্রশাসনের এক কর্তা বলেন,‘‘কে কোন দায়িত্ব সামলাবেন, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে পুলিশ কমিশনারের উপর।’’

Advertisement

গত মাসে তারকেশ্বরে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চন্দননগর কমিশনারেটের কথা ঘোষণা করেন। চলতি মাসের প্রথম দিনে পীযূষ পাণ্ডে কমিশনারেটের দায়িত্ব পান। পুলিশ সুপার সুকেশ জৈনকে দেওয়া হয় জেলার গ্রামীণ অংশের দায়িত্ব। কিন্তু কমিশনারেট গঠিত হওয়ার পরেও হুগলির শহরাঞ্চলে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে লাগাম পরছে না। বৃহস্পতিবার কোন্নগরে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের পর শুক্রবার রাতে ব্যান্ডেলে খুনের ঘটনাও ঘটেছে।

ঠারেঠোরে পুলিশকর্তাদের একাংশ মানছেন, কমিশনারেট গঠিত হলেও পরিকাঠামো এখনও তিমিরেই। এখনও কারও নির্দিষ্ট কোনও অফিস নেই। উত্তরপাড়া থানাকে ডিসি (ডি়ডি) অফিস হিসেবে ব্যবহার করার চিন্তাভাবনা চলছে। সে ক্ষেত্রে গৌরী সিনেমার উল্টো দিকে উত্তরপাড়া হাসপাতালের একটি পুরনো ভবনকে সারিয়ে থানার কাজ চালানো যায় কিনা, সেই আলোচনাও চলছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, আপাতত ভাড়ার জায়গা খোঁজা হচ্ছে। পরে সরকারি বাড়ি ঠিক হলে অন্যত্র চলে যাওয়া হবে। তবে সব কথাবার্তাই এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। কোনওটাই নির্দিষ্ট বা চূড়ান্ত হয়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement