ট্যাঙ্কারে ধাক্কা, মৃত শিশু ও চালক

জলের ট্যাঙ্কারের পিছনে ধাক্কা মারায় মৃত্যু হল এক শিশু ও বাস চালকের। জখম হয়েছেন ৩০ জন যাত্রী। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনানের চন্দ্রপুর গ্রামের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। আহতদের বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগনান শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৬ ০২:১৪
Share:

উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ছবিটি তুলেছেন সুব্রত জানা।

জলের ট্যাঙ্কারের পিছনে ধাক্কা মারায় মৃত্যু হল এক শিশু ও বাস চালকের। জখম হয়েছেন ৩০ জন যাত্রী। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনানের চন্দ্রপুর গ্রামের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। আহতদের বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে ২০ জনকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। উলুবেড়িয়া হাসপাতালেই মারা যান বাসের চালক প্রদীপ মণ্ডল (৫০) ও ৬ মাসের শিশু রণিত জানা।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাদামতলা-দিঘা রুটের বাসটি সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ বেলঘরিয়া থেকে থেকে ছেড়ে দিঘা যাচ্ছিল। আহত যাত্রীরা জানান, বাসটির বেশ গতিতে চলছিল। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বাগনানে দামোদর সেতু পার হয়ে চন্দ্রপুরের কাছে এসে বাসটি জলের ট্যাঙ্কারের পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌন্দর্যায়নের জন্য জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। ওই সব গাছে ট্যাঙ্কারে করে প্রতিদিন জল দেওয়া হয়। এ দিনও গাছে জল দেওয়ার জন্য ট্যাঙ্কারে করে জল আনা হয়েছিল। রাস্তার ধারে ট্যাঙ্কারটি দাঁড়িয়েছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ট্যাঙ্কারের পিছনে ধাক্কা মারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।

আহতদের চিৎকার শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। বাসিন্দাদের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে আনে পুলিশ। বাসের দরজা কেটে চালককে বের করতে হয়। মূলত সামনের দিকে যে সব যাত্রী বসেছিলেন তাঁদেরই বেশি চোট লাগে।

Advertisement

আর ছোট্ট রণিতের বাড়ি মেচেদার রাধামণিতে। সে তার মায়ের সঙ্গে কয়েকদিন আগে ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটিতে মামার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। এ দিন সকালে তার মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল সেন। সঙ্গে ছিলেন মামা ও দাদু। চারজন অঙ্কুরহাটি থেকে বাসে ওঠে। বাসের সামনের সিটে রণিতকে কোলে নিয়ে দাদু অমিত রায় বসেছিলেন। দুর্ঘটনার জেরে সে দাদুর কোল থেকে ছিটকে পড়ে। মাথায় চোট লাগে। আহত হন দাদু, মামা এবং মা। চারজনকেই বাগনান থেকে রেফার করানো হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই মারা যায় রণিত। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দাদু বলেন, ‘‘প্রচণ্ড শব্দ হল। কোল থেকে ছিটকে পড়ে গেল আমার নাতি। তার পরে আমার আর কিছু মনে নেই।’’ এ দিকে, দুর্ঘটনার পরেই পালিয়ে যায় ট্যাঙ্কার চালক। বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কে যানজট হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন