কলেজ চালাতে ‘বাধা’

পদ ছাড়তে চেয়ে চিঠি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের

কলেজ পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। এই যুক্তি দেখিয়ে সাংসদের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ঘটনাটি খানাকুল রাজা রামমোহন কলেজের। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবনাথ সাহা বলেন, ‘‘নিজের মতো করে কলেজ চালাতে আমি বাধা পাচ্ছি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খানাকুল শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:২০
Share:

কলেজ পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। এই যুক্তি দেখিয়ে সাংসদের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। ঘটনাটি খানাকুল রাজা রামমোহন কলেজের।

Advertisement

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবনাথ সাহা বলেন, ‘‘নিজের মতো করে কলেজ চালাতে আমি বাধা পাচ্ছি। তাই পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা সাংসদের কাছে ইমেল করেছি। সেই সঙ্গে পদত্যাগপত্র বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।’’ তিনি কোনও পদত্যাগপত্র পাননি বলে জানিয়েছেন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি বলেন, ‘‘তাঁর পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই।’’

তবে ‘বাধা’ বলতে কী বলতে চেয়েছেন দেবনাথবাবু?

Advertisement

কলেজ সূত্রে জানা যায়, আগামী ডিসেম্বর মাসে কলেজে ছাত্র সংসদ গঠিত হওয়ার কথা। তাই নিয়ে টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়ই মারামারি হয়। গত ২৬ অগস্ট তৃণমূলের ছাত্র সমাবেশে যাওয়ার জন্য দুই গোষ্ঠী পৃথকভাবে ব্যবস্থা করে। তাতে এক পক্ষের ভিড় বেশি হয়। তারই জেরে পরের দিন অর্থাৎ ২৭ অগস্ট কলেজে ওই দুই গোষ্ঠীর মারামারি হয়। ঝামেলা থামাতে এগিয়ে আসেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবনাথ সাহা-সহ অন্য শিক্ষক, বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষাকর্মীরা। পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে দেবনাথবাবু থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দু’পক্ষের ৫ জন ছাত্রকে থানায় নিয়ে যায়। পরে অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পুরো বিষয়টা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফোনে কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা সাংসদ অপরূপা পোদ্দারকে জানান।

কলেজের একটা অংশের অভিযোগ, পুলিশ ডাকার পরেই দেবনাথবাবুর সঙ্গে ঝামেলা হয় সাংসদের। তাঁকে কেন অন্ধকারে রেখে কাজ করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলে সাংসদ অপরূপাদেবী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অপমানজনক কথা বলেন বলে অভিযোগ। তারই জেরে গত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবনাথবাবু বৃহস্পতিবার পদত্যাগপত্র পাঠান বলে কলেজের একটা অংশের দাবি।

সরাসরি না হলেও, একটা গোলমাল হয়েছে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘আগামী ১৯-২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ন্যাক কলেজে আসছে। ৬ সেপ্টেম্বর পরিচালন কমিটির বৈঠক আছে। ছোটখাট গোলমাল হয়েছিল মিটি যাবে।’’ এ দিকে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঁজা বলেন, ‘‘আমাদের কাছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ সংক্রান্ত কোনও তথ্যই নেই।’’ এ প্রসঙ্গে কলেজের প্রধান করণিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি এখনও সেই পদত্যাগপত্র বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাননি। তবে নিয়মিত কলেজে আসছেন দেবনাথবাবু। তিনি ‘‘আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পরিচালন কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে বিষয়টা নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন