ফাইল চিত্র।
লোয়ার রামপুর এবং আপার রামপুর খালের সংযোগস্থলে স্লুইস গেটের দরজা খোলা থাকবে না বন্ধ—সেই নিয়ে উদয়নারায়ণপুর ও পুরশুড়ার বাসিন্দাদের দড়ি টানাটানি দীর্ঘদিনের। সমস্যা মেটাতে হস্তক্ষেপ করতে হল সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিবাদ মেটাতে কমিটিও করে দিলেন তিনি।
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুর খালের দু’টি অংশ রয়েছে। ‘লোয়ার রামপুর’ গিয়েছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতা দিয়ে। ‘আপার রামপুর’টি গিয়েছে হুগলির খানাকুল দিয়ে। উদয়নারায়ণপুরের হরালি এলাকা হল লোয়ার রামপুর এবং আপার রামপুরের সংযোগস্থল। স্লুইস গেটটি রয়েছে ঠিক সেখানেই। গেটে সাতটি লক রয়েছে। উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দারা চান, ভারী বৃষ্টি হলে স্লুইস গেটের সাতটি লক খুলে দেওয়া হোক।
কিন্তু তাতে আপত্তি করেন খানাকুলের বাসিন্দারা। কারণ, লোয়ার রামপুরের বাড়তি জল আপার রামপুর খালে পড়লে পুরশুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই খানাকুলের বাসিন্দারা দাবি করেন, স্লুইসের লক যেন খোলা না হয়। প্রতি বর্ষার সময়েই এই নিয়ে উদয়নারায়ণপুর এবং পুরশুড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে গোলমাল এমনকি বোমাবাজির মতো ঘটনাও ঘটেছে।
সোমবার আমতায় সেচ দফতরের বাংলোয় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে এসে ওই স্লুইস গেটের দেখভালের জন্য একটি কমিটি করে দেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তার রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।