পঞ্চায়েতের মার্কেট কমপ্লেক্স নিয়ে বিতর্ক

এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির জন্য আরামবাগের তৃণমূল পরিচালিত তিরোল পঞ্চায়েতের উদ্যোগে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্লক প্রশাসনের একাংশের অভিযোগ, অনুমতি না নিয়ে পূর্ত (সড়ক) দফতরের জায়গা দখল করে বেআইনি ভাবে ওই নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশও। প্রধান কাজি নিজামুদ্দিনের দাবি, জনস্বার্থেই ওই নির্মাণ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৫ ০১:১০
Share:

নির্মীয়মাণ এই দোকানঘর নিয়েই উঠেছে বিতর্ক। ছবি: মোহন দাস।

এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রির জন্য আরামবাগের তৃণমূল পরিচালিত তিরোল পঞ্চায়েতের উদ্যোগে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্লক প্রশাসনের একাংশের অভিযোগ, অনুমতি না নিয়ে পূর্ত (সড়ক) দফতরের জায়গা দখল করে বেআইনি ভাবে ওই নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণ নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশও। প্রধান কাজি নিজামুদ্দিনের দাবি, জনস্বার্থেই ওই নির্মাণ।

Advertisement

কয়েক মাস ধরেই পঞ্চায়েত ভবন লাগোয়া আরামবাগ-তিরোল রাস্তার ধারে ৬টি দোকানঘরের ওই মার্কেট কমপ্লেক্স এবং তার পাশে যাত্রী প্রতীক্ষালয় নির্মাণ হচ্ছে। সোমবার ছাদ ঢালাইও হয়ে গেল। এই নির্মাণের কথা কানে গিয়েছে পূর্ত (সড়ক) দফতরের। আরামবাগ পূর্ত (সড়ক) দফতরের সহকারী বাস্তুকার জ্যোতিপ্রকাশ ধর জানিয়েছেন, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পঞ্চায়েত প্রধান কাজি নিজামুদ্দিন বলেন, ‘‘দু’টি নির্মাণই হচ্ছে জনস্বার্থে। সংশ্লিষ্ট দফতরের অনুমতি নেওয়ার বিষয় জানা ছিল না। পূর্ত দফতর তদন্ত করে দেখুক তাদের কতটা জায়গা দখল হয়েছে। তারপর তারা যা পরামর্শ দেবে, সেই মতো পদক্ষেপ করব।’’

তবে, পঞ্চায়েতের এই কাজ খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলেই মনে করছেন পঞ্চায়েত সদস্য তথা দলনেতা লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল। লক্ষ্মীকান্তবাবু-সহ তৃণমূলের প্রায় ১২ জন সদস্যের ওই কাজে আপত্তি রয়েছে। লক্ষ্মীকান্তবাবুর অভিযোগ, ‘‘প্রধান একক সিদ্ধান্তে পূর্ত দফতরের জায়গা দখল করে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করাচ্ছেন। এতে রাস্তা দখল করে অবৈধ নির্মাণ বাড়বে।’’ গ্রামবাসীদের একাংশেরও অভিযোগ, সঙ্গীর্ণ রাস্তাটি ভবিষ্যতে চওড়া করার যে ব্যবস্থাপনা রয়েছে, তা বেআইনি দখলে নষ্ট হচ্ছে। তা ছাড়া, রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণেও অসুবিধা হবে। তাঁরাও মনে করেন, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ যদি নিজেই আইন না মানে, তা হলে সরকারি জায়গা দখলের প্রবণতা আরও বাড়বে। প্রধান অবশ্য দাবি করেছেন, সকলের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি ওই নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement