রেল লাইনে যুগলের দেহ

দু’জনেই মগরার সুকান্তপল্লি এলাকার বাসিন্দা। ঋত্বিকা বিবাহিত, তাঁর ছ’বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। যুগল সিঙ্গুর আইটিআই-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মগরা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৮ ০১:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল এক যুবক-যুবতীর মৃতদেহ। বুধবার সকালে মগরা ও তালান্ডু স্টেশনের মাঝখান থেকে তাঁদের দেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন ওই দু’জন। মৃতদের নাম যুগল দাস (২৩) ও ঋত্বিকা রায় (২৬)। দু’জনেই মগরার সুকান্তপল্লি এলাকার বাসিন্দা। ঋত্বিকা বিবাহিত, তাঁর ছ’বছরের একটি ছেলেও রয়েছে। যুগল সিঙ্গুর আইটিআই-এর তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে যুগলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ঋত্বিকা। তাঁর স্বামী নিখিল রায় একটি স্কুলে পার্শ্ব শিক্ষক। নিখিলবাবু বলেন, ‘‘কিছু একটা ঘটছে আন্দাজ করতে পেরেছিলাম। স্ত্রীকে সাবধানও করেছিলাম। কিন্তু এমনটা ঘটে যাবে ভাবিনি।’’ সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যুগলের বাড়ি থেকেও বকাবকি করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

নিখিলবাবুর দাবি, মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ ফোনে ঋত্বিকা তাঁকে বাজারে যাচ্ছেন বলে জানান। ছেলেকে রেখে যান পাশের বাড়িতে। এমনটা অনেক সময়ই করে থাকেন ঋত্বিকা। এ দিনও প্রতিবেশীর বাড়িতে ছেলেকে রেখে স্কুটার নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। তাই প্রতিবেশী ওই পরিবারও কোনও সন্দেহ করেনি। ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরে ছেলেকে নিয়ে আসেন নিখিলবাবু। তিনি বলেন, ‘‘সন্ধে ৭টা নাগাদও স্ত্রীকে ফোন করি, ও বলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরছে। কিন্তু সাড়ে ৮টার পর আর ফোনে পাওয়া যায়নি।’’

Advertisement

রাত বাড়লে খোঁজ পড়ে যুগলেরও। তাঁর বাড়ি গিয়ে নিখিলবাবু জানতে পারেন বিকেলে বেরিয়ে গিয়েছে যুগলও। তারপর থেকে তাঁকেও ফোনে পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে হাওড়া-বর্ধমান শাখার মগরা ও তালান্ডুর মাঝ থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধারের খবর মেলে। পাশেই ছিল ঋত্বিকার স্কুটারটি। রেল পুলিশের অনুমান, এ দিন ভোরের দিকেই দু’জনে নির্জন এলাকায় এসে আত্মহত্যা করেছেন।

পান্ডুয়ার বৈঁচিতে ঋত্বিকার বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। যুগলের বাবা বনমালি দাস বলেন, ‘‘ছেলের চাকরিটা দরকার ছিল, ও বলেছিল আর এক বছরের মধ্যে পড়া শেষ করে চাকরিতে ঢুকবে। এ ভাবে জীবনটাই শেষ করে দিল!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন