দলের মহিলা কর্মীকে মারধর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত ডানকুনি শহর তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়কে তিন দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মারধরের অভিযোগে সুমিত ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছিল দু’জন মহিলা তৃণমূল কর্মী। তাদেরও তিন দিন জেল হাজত হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে ডানকুনির হাউজিং মোড় এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি হচ্ছিল। তখন তৃণমূলের এক যুব নেতার দলবল সুমিতবাবুর দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, সেই সময়ে বিক্ষোভরত দুই মহিলা কর্মীকে ওই কার্যালয়ের ভিতরে হেনস্থা করা হয়।
তার পর এক মহিলা ডানকুনি থানায় লিখিত অভিযোগ হয়। তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুমিত-সহ তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
শুক্রবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতের ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম স্বরূপ চক্রবর্তীর এজলাসে তোলা হয়েছিল। বিচারক পুলিশকে আগামী সোমবার কেস ডায়েরি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সুমিতের দাবি, ‘‘আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমার পার্টি অফিসে দলেরই শহর যুব সভাপতি দেবাশিস মুখোপাধ্যায়ের দলবল হামলা করেছে।’’ এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, ‘‘দেবাশিসের এত টাকার উৎস কী?’’ এ নিয়ে দলের শহর যুব সভাপতি তথা ডানকুনির উপ-পুরপ্রধান দেবাশিসবাবু প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমার টাকাপয়সা নিয়ে প্রয়োজনে দল তদন্ত করে দেখুক।’’
এর আগে গত ৩১ অগস্ট স্থানীয় একটি ম্যাসেজ পার্লারে ঢুকে পার্লার-মালিকের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিল সুমিত এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।