বন্ধ অটো রুট, সমস্যায় যাত্রীরা

খাদিনা মোড় অটো স্ট্যান্ড কমিটির সদস্যরা জানান, প্রায় ২৫ বছর ধরে এখানে জিটি রোডের ধারে অটো দাঁড়ায়। বর্তমানে অটোর সংখ্যা প্রায় ৩৫টি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০১:৩৪
Share:

এখানেই দাঁড়াত অটো। ছবি: তাপস ঘোষ

অটো দাঁড়ানোর জায়গা নেই। তাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে চুঁচুড়ার খাদিনা মোড়-চাঁপদানি রুটের অটো চলাচল। দিন চারেক ধরে এই পরিস্থিতি চলায় বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। সমস্যা সমাধানে অটো চালক সংগঠনের তরফে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত ভাবে আবেদন জানানো হয়েছে। নিত্যযাত্রীরাও দ্রুত সমস্যা মেটানোর দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement

খাদিনা মোড় অটো স্ট্যান্ড কমিটির সদস্যরা জানান, প্রায় ২৫ বছর ধরে এখানে জিটি রোডের ধারে অটো দাঁড়ায়। বর্তমানে অটোর সংখ্যা প্রায় ৩৫টি। খাদিনা মোড় থেকে জিটি রোড ধরে চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর হয়ে চাঁপদানি পর্যন্ত সেগুলি চলে। প্রতিদিন কয়েকশো নিত্যযাত্রী এই রুটের অটোতে যাতায়াত করেন। তাঁদের দাবি, যে জায়গায় অটো দাঁড়াত তার বেশির ভাগ জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন। বাকিটা পূর্ত দফতরের। সম্প্রতি জমির মালিক টিন দিয়ে জায়গাটি ঘিরে দেন। এর ফলে উপায়ান্তর না দেখে অটোগুলি কার্যত জিটি রোডে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়। এই অবস্থায় দাঁড়ানোর জায়গা না থাকায় অটো চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

অটোচালক সংগঠনের তরফে গোবিন্দ ধাড়া বলেন, ‘‘অটোর মালিক-চালক মিলিয়ে প্রায় সত্তর-পঁচাত্তরটি পরিবারের রুজি-রুটি প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। এত দিনের রুট। সরকারকে কর দিয়ে গাড়ি চালাই। প্রশাসন আমাদের দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করুক।’’ চন্দননগর কমিশনারেট সূত্রের বক্তব্য, জিটি রোড ঘেঁষে অটো দাঁড়ালে যানজট হবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে। সেই কারণেই অটোগুলিকে ওই জায়গা থেকে সরে যেতে বলা হয়। তবে সমস্যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হুগলি-চুঁচুড়ার পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। ওঁরা বিকল্প জায়গা খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানালে পুরসভার তরফে সেই চেষ্টা করা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে জায়গা ঘেরা হয়েছে, তার মালিককে বলা হয়েছে ফের জমি মেপে সেখানে পূর্ত দফতরের জমি ঢুকে থাকলে তা ছেড়ে দিতে।’’

Advertisement

নিত্যযাত্রীরাও চাইছেন, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। খাদিনা মোড় এলাকার বাসিন্দা সঞ্চিতা পাত্র চন্দননগরের জ্যোতির মোড়ের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মী। তিনি বলেন, ‘‘বাড়ির সামনের স্ট্যান্ড থেকে অটো ধরে কাজে যাই। ১৩ টাকা খরচ হয়। এখন বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। টোটোতে গেলে ৪০ টাকা খরচ।’’ একই সমস্যায় ধরমপুরের বাসিন্দা দশম শ্রেণির পড়ুয়া সৌনাক্ষী বন্দ্যোপাধ্যায়। সে অটো ধরে চন্দননগরের রথের সড়কে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যায়। তাঁর কথায়, ‘‘অটো বন্ধ থাকায় অনেক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। টোটোতে অনেক খরচ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন