কাজে গতি বাড়াতে দুই দফতরের সমন্বয়

বছরভর নিশ্চিত রোজগারের সুযোগ করে দিতে এ বার ১০০ দিন কাজের প্রকল্পের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ দফতরের মেলবন্ধন হল হুগলি জেলায়। স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে দুই দফতরের সমন্বয়ে আপাতাত ছাগল ও শুয়োর চাষ দিয়ে শুরু হচ্ছে ‘প্রাণী পালনের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা’ প্রকল্পটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৫০
Share:

বছরভর নিশ্চিত রোজগারের সুযোগ করে দিতে এ বার ১০০ দিন কাজের প্রকল্পের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ দফতরের মেলবন্ধন হল হুগলি জেলায়। স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে দুই দফতরের সমন্বয়ে আপাতাত ছাগল ও শুয়োর চাষ দিয়ে শুরু হচ্ছে ‘প্রাণী পালনের মাধ্যমে স্বনির্ভরতা’ প্রকল্পটি। বুধবার আরামবাগ ব্লকে ৫ জন উপভোক্তার হাতে ৫টি করে ছাগল তুলে দিয়ে প্রকল্পটির সূচনা হয়। বলাগড়-পান্ডুয়া-সহ জেলার অন্য ব্লকেও সমন্বয় প্রকল্পটি দ্রুত রূপায়িত হবে জানিয়েছেন একশো দিন কাজ প্রকল্পের জেলা নোডাল অফিসার কমলেশ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘উপভোক্তাদের ছাগল ও শুয়োর পালনের জন্য ঘর বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে। আর এককালীন ৫টি করে ছাগল ও তার খাবার, চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে জেলা প্রাণী সম্পদ দফতর।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রথম দফায় জেলার মোট ৩০টি উপভোক্তা পরিবারের জন্য ৩০টি ছাগলের ঘর বানানো হচ্ছে। শুয়োর পালনের জন্য ১৫ জন উপভোক্তারও ঘর বানিয়ে দেওয়া হবে। ওই ঘর পিছু ১০০ দিন প্রকল্প থেকে খরচ ধরা হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। আর উপভোক্তা পিছু প্রাণী সম্পদ দফতরের খরচ ১২ হাজার ২০০ টাকা। পরিবার পিছু দেওয়া হবে আট মাস থেকে এক বছর বয়সের ৫টি করে ছাগল। সঙ্গে খাবার ও ওষুধপত্র দেওয়া হবে। হুগলি জেলা প্রাণী সম্পদ দফতরের উপঅধিকর্তা প্রবীর পাঠক বলেন, ‘‘১০০ দিন কাজ প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয়ের ফলে সেই কাজ আরও গতি পাবে।’’ এই রকম জেলার অন্য দফতরগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমেই ১০০ দিন কাজ প্রকল্পের অধীন ‘পূর্ণ কর্মসংস্থান জীবিকা’ প্রকল্পটি রূপায়িত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন