আটকে রাখার অভিযোগ

একটি পারিবারিক জমি সংক্রান্ত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য এক যুবককে দলীয় কার্যালয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোঘাট শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৬ ০১:২৫
Share:

একটি পারিবারিক জমি সংক্রান্ত মামলা তুলে নেওয়ার জন্য এক যুবককে দলীয় কার্যালয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দলীয় বিধায়কের ধমকে ঘণ্টা পাঁচের পরে অবশ্য ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়। শনিবার ঘটনাটি ঘটে গোঘাটের জয়কৃষ্ণপুরে। পুলিশ জানায়, রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ হয়নি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দিলীপ রায়দের চার ভাই। পৈতৃক ৬১ শতক জমি বন্টন নিয়ে পরিবারের বিবাদ ছিল। সম্প্রতি দিলীপবাবুর সেজ বৌদি বন্দনা রায়ের নামে ইন্দিরা আবাস যোজনায় টাকা বরাদ্দ হয়। সেজ বৌদির হয়ে তাঁর ছেলে বাপি সেই অবন্টিত জমির মধ্যে সামনে রাস্তার দিকে জায়গায় ইন্দিরা আবাস প্রকল্পে নির্মাণের উদ্যোগ হন। দিলীপবাবু আপত্তি তোলেন। সেই আপত্তিতে কাজ না হওয়ায় দিলীপবাবু দিন তিনেক আগে আরামবাগ আদালতে মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, ইন্দিরা আবাসের টাকা আটকে যাওয়ায় উপভোক্তা বন্দনা রায় এবং তাঁর ছেলে বাপি স্থানীয় তৃণমূল নেতা সমর কোলের দ্বারস্থ হন। তারপর থেকে তৃণমূলের রোষে দিলীপবাবু এবং তাঁর স্ত্রী রাগমনি গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ি আরামবাগের সতীতলাতে তাঁরা রয়েছেন।

এ দিন গ্রামে রেশন সামগ্রী দেওয়ার দিন ছিল। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ গ্রামে যান দিলীপবাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রেশন দোকানে যাওয়ার পথে তৃণমূলের কিছু ছেলে এবং ভাইপো বাপি আমাকে ঘিরে ধরে। সমর কোলে ডাকছে জানিয়ে তারা আমাকে তৃণমূল পার্টি অফিসে নিয়ে যায়। বিকেল চারটে পর্যন্ত আমাকে বসিয়ে রাখা হয়। মাঝে মাঝে হুমকি দেয়, মামলাটা তুলে নেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ আসায় তারা ছেড়ে দেয়।’’ থানায় অভিযোগ যাবে না বলে সমর কোলে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। সমরবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘পার্টি অফিসে তাঁকে ডাকা হয়নি। চেনা লোকেদের সঙ্গে গল্পগুজব করতে নিজেই এসে থাকতে পারেন।’’ এ প্রসঙ্গে গোঘাট বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, ‘‘পারিবারিক বিবাদে দলের কেউ হস্তক্ষেপ না করে, সেই রকম নির্দেশ দেওয়া আছে। তার পরেও এরকম কেন অভিযোগ উঠল খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন