টিএমসিপি তথা তৃণমূলের ‘সন্ত্রাসে’র তাদের কোনও সদস্যই মনোনয়ন জমা করতে পারেননি। তাই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হল ডিএসও। শ্রীরামপুর গার্লস কলেজের ঘটনা। ২০০৩ সালে এই কলেজে ছাত্রসংসদ গঠন হওয়ার সময় থেকেই ক্ষমতায় ছিল ডিএসও। আগামী ৩১ জানুয়ারি ওই কলেজের ২৩টি আসনে ভোট হওয়ার কথা। গত ১৭ ও ১৮ তারিখ মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। অভিযোগ, দু’দিনই তৃণমূল ও টিএমসিপির ছেলেমেয়েরা ডিএসও-র মেয়েদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেন। প্রথম দিন কিছু মেয়ে মনোনয়ন জমা দিতে পারলেও পরের দিন কলেজের কাছেই ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। ডিএসও-র জেলা কমিটির সদস্য তথা কলেজের ছাত্রসংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জয়া রায় গুরুতর জখম হন। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে তৃণমূলের বাইক বাহিনী ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের হুমকি দেয়। এক ছাত্রীর বাড়িতে তৃণমূল কর্মী এক দম্পতি দলবল নিয়ে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। যদিও এ ব্যাপারে অভিযোগ হয়নি। ডিএসও-র রাজ্য সম্পাদক সৌরভ ঘোষ বলেন, ‘‘ওই কলেজে আমাদের সংগঠনের মেয়েদের উপর তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। পুলিশ নীরব দর্শক। তাই থানায় অভিযোগ জানানো হয়নি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ওই কলেজে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে এনে পুনর্নিবাচনের দাবি জানাচ্ছি।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে টিএমসিপির জেলা আহ্বায়ক রিঙ্কু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই কলেজে বছরের পর বছর ওরাই কাউকে মনোনয়ন তুলতে দেয়নি। এ বার কলেজের মেয়েরা ভোটে দাঁড়ানোর জন্য সাহায্য চাওয়ায় আমরা সেখানে যাই। তখন ডিএসও আমাদের মেয়েদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের মেয়েরা প্রতিরোধ করেছে।’’ তাঁদের ভূমিকা প্রসঙ্গে পুলিশের এক কর্তা দাবি করেন, ওখানে তেমন গোলমাল হয়নি। উত্তেজনা সামলাতে যেটুকু ব্যবস্থা নেওয়ার পুলিশ তা করেছে।