রাস্তায় পুলিশ, হাওড়ায় কমল ডিজে-র দাপট 

পুলিশ তৎপরতা বাড়াতেই কিছুটা কাজ হল। রবিবার হাওড়া জেলার পিকনিক স্পটগুলিতে তুলনায় কম শোনা গেল ডিজে। স্বস্তি পেলেন সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকেরা।

Advertisement

সুব্রত জানা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৭
Share:

তৎপর: রাস্তায় ডিজে বক্স ও চোঙ লাগানো লরি আটকাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। নিজস্ব চিত্র

পুলিশ তৎপরতা বাড়াতেই কিছুটা কাজ হল। রবিবার হাওড়া জেলার পিকনিক স্পটগুলিতে তুলনায় কম শোনা গেল ডিজে। স্বস্তি পেলেন সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকেরা।

Advertisement

ডিজে বাজানো নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও শীতের শুরু থেকে যথারীতি এ বারও শনি-রবি এবং অন্য ছুটির দিনগুলিতে ফুলেশ্বর, নাওপালা, গাদিয়াড়া, গড়চুমুকের মতো পিকনিট স্পটগুলিতে তারস্বরে ডিজে বাজতে শোনা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই সব জায়গায় আসা-যাওয়ার পথে এবং ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও ডিজে-র আওয়াজে কান পাতা দায় হচ্ছিল— এমন অভিযোগও উঠছিল। রবিবার অবশ্য ভোর থেকেই পথে নামে পুলিশ। গ্রামীণ হাওড়ায় জাতীয় সড়কের প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বহু পিকনিক দলের গাড়ির ডিজে বন্ধ করিয়েছে তারা। কিছু ক্ষেত্রে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সেই গাড়ি বেরিয়ে গেলও পরের মোড়ে ধরা পড়ে গিয়েছে। করা হয়েছে জরিমানা, ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে ডিজে-র সংযোগ।

হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘কোনও ভাবেই জাতীয় সড়কে ডিজে বাজানো বরদাস্ত করা হবে না। এ দিন যে জাতীয় সড়কে অনেক পিকনিক দলের গাড়ির ডিজে বন্ধ করা হয়েছে। যেগুলি চলে গিয়েছে, সেই সব গাড়ির নম্বর পুলিশ পেয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

এক শ্রেণির ‘পিকনিক পার্টি’ ডিজে বাজায় বলে অভিযোগ। ওই সব দলের যুক্তি, একটি দিনের আনন্দের জন্য তারা ওই ব্যবস্থা করে। সঙ্গে চলে উদ্দাম নাচ। এ দিন ডোমজুড় থেকে গড়চুমুকে পিকনিক করতে এসেছিলেন কলেজ ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কিন্তু ডিজে-র দাপট কম দেখে তিনি স্বস্তি পেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘শুনেছি রাস্তাতেই পুলিশ ডিজে বন্ধ করে দিয়েছে। তাই এখানে বন্ধুদের নিয়ে খুব আনন্দ করলাম। না-হলে ডিজের শব্দে আনন্দটাই মাটি হয়ে যেত।’’ ফুলেশ্বরের বাসিন্দা, নাট্যকার অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ডিজে-র দাপাদাপিতে ডিসেম্বর-জানুয়ারির ছুটির দিনগুলিতে রাস্তায় চলাচল করা কঠিন হয়ে যায়। গাড়ির হর্ন শোনা যায় না। বড় বিপদ ঘটতে পারে। এ সবের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরও কড়া হতে হবে।’’

কেউ কেউ অবশ্য মনে করছেন, দেরিতে ঘুম ভাঙল পুলিশের। শীতের শুরু থেকেই পুলিশ সক্রিয় হলে ডিজে আগেই নিয়ন্ত্রণ করা যেত। জেলা পুলিশের এক কর্তা এই প্রশ্নে লোকাভাবকে দায়ী করেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘অন্য দিনগুলিতেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু রাস্তায় ডিজে পুরোপুরি বন্ধ করতে হলে আরও পুলিশ প্রয়োজন। জেলা পুলিশে অত কর্মী কোথায়? এ দিন পুলিশ হিমসিম খেয়েছে।’’

দিনের শেষে অবশ্য সাধারণ মানুষ এবং বহু পর্যটক পুলিশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন